সোনার দাম পৌঁছাতে পারে ৩,৭০০ ডলারে, পোল্যান্ড কিনেছে ৯০ টন

বিশ্ববাজারে সোনার দাম চলতি বছরের শেষ নাগাদ আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৭০০ ডলারে পৌঁছাতে পারে—এমন পূর্বাভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাক্স। সম্প্রতি এক বিশ্লেষণী নোটে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনার ক্রমবর্ধমান চাহিদা এই বৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি।

গোল্ডম্যান স্যাক্সের আগের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, বছরের শেষ নাগাদ সোনার দাম ৩ হাজার ৩০০ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে। তবে নতুন পূর্বাভাসে সম্ভাব্য মূল্যসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩,৬৫০ থেকে ৩,৯৫০ ডলারের মধ্যে। এমনকি বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বড় ধরনের মন্দা দেখা দিলে এটি ৩,৮৮০ ডলার পর্যন্ত যেতে পারে বলেও জানিয়েছে তারা।

বিশ্লেষকদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ও সোনাভিত্তিক এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ)-এ বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রবণতা মূল্যবৃদ্ধির পেছনে অন্যতম কারণ। গোল্ডম্যান স্যাক্স মনে করে, অর্থনৈতিক ও নীতিগত অনিশ্চয়তা কিছুটা হ্রাস পেলে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩,৫৫০ ডলারেও স্থিতিশীল হতে পারে।

সোনায় আগ্রহ বাড়ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর

ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের তথ্যমতে, ২০২৪ সালে টানা তৃতীয় বছরের মতো কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সম্মিলিত সোনা ক্রয়ের পরিমাণ এক হাজার টন ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সোনা কিনেছে পোল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক—মোট ৯০ টন।

চলতি বছর প্রতিমাসে বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনার গড় চাহিদা দাঁড়াতে পারে ৮০ মেট্রিক টনে, যা আগের বছর ছিল ৭০ মেট্রিক টন। গত বছর বিশ্ববাজারে মোট ৪ হাজার ৯৭৪ টন সোনা বেচাকেনা হয়েছে।

বিশ্ববাজারে সোনার বর্তমান অবস্থা

গোল্ডপ্রাইস ডট অর্গ-এর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্ববাজারে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৩১৫ ডলার, যা আগের দিনের তুলনায় এক ডলারেরও কম হারে কমেছে। তবে গত এক মাসে সোনার দাম বেড়েছে ২৭৯ ডলার এবং গত এক বছরে বেড়েছে ৯২৬ ডলার।

দেশের বাজারেও প্রভাব

বিশ্ববাজারে সোনার এই ঊর্ধ্বগতির প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারেও। স্থানীয় বাজারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সোনার দাম, যা ভোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে।