রাষ্ট্র সংস্কারের মৌলিক শর্ত পূরণ এবং অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে জরুরি সংস্কারগুলো সম্পন্ন করেই নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রেস উইংয়ের ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আসিফ নজরুল বলেন, “আমি নিশ্চিত করে বলতে চাই, অযথা সময়ক্ষেপণ করে সরকারে থাকার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা আমাদের নেই। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র মেরামতের যে মৌলিক শর্তগুলো দরকার, সেগুলো পূরণ করেই আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চলে যেতে চাই। এ নিয়ে কোনো দ্বিধা বা বিভ্রান্তির অবকাশ নেই।”
সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে তিনি জানান, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকেই আলোচনা শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। যদি রাজনৈতিক দলগুলো সম্মত হয়, তবে রোজার সময়েও আলোচনা চলবে।
তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত নির্বাচন চায়, এটা বলার অধিকার তাদের আছে। তবে ‘দ্রুত’ বলতে তারা কী বোঝায়, সেটি নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি।”
নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে তিনি বলেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। বর্ষার বিষয়টি বিবেচনায় এনে ২০২৬ সালের মার্চ বা এপ্রিলেও নির্বাচন এগিয়ে আনা হতে পারে।
প্রয়োজনীয় সংস্কারের সময়সীমা সম্পর্কে আসিফ নজরুল জানান, কিছু সংস্কার এক মাসের মধ্যেই শেষ করা সম্ভব, তবে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ছয় মাস সময় লাগতে পারে।
সরকারের সহনশীলতা, গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিবেশ থাকার কারণেই স্বৈরাচার মাথাচাড়া দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন আইন উপদেষ্টা।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?