clock ,

অবশেষে প্রমাণ করতে হলো, আমি মুক্তিযোদ্ধা: আপেল মাহমুদ

অবশেষে প্রমাণ করতে হলো, আমি মুক্তিযোদ্ধা: আপেল মাহমুদ

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত কালজয়ী গানমোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি’—যার গীতিকার সুরকার আপেল মাহমুদ তাঁকেই জীবিত অবস্থায় আবারও প্রমাণ করতে হলো, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা।

সোমবার ( জুন) জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) শুনানিতে হাজির হয়ে তিনি প্রমাণ দেন। শুনানি শেষে একুশে পদকপ্রাপ্ত এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বলেন, “আমি জীবিত থেকেই দ্বিতীয়বার প্রমাণ করলাম যে আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। জামুকার সদস্যরা ভুল অভিযোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

জানা যায়, স্বাধীন বাংলা বেতার কর্মী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন অভিযোগ করেছিলেন যে আপেল মাহমুদ মুক্তিযোদ্ধা নন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছরের আগস্টের পর জামুকা থেকে তাঁকে শুনানিতে হাজির হতে নোটিশ পাঠানো হয়। জুন কুমিল্লা সার্কিট হাউসে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

শুনানিতে আপেল মাহমুদ জানান, “আমি তিন নম্বর সেক্টরে ক্যাপ্টেন মতিউর রহমান পরে ক্যাপ্টেন নাসিমের অধীনে সরাসরি সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়েছি। ভৈরব, আশুগঞ্জ, চুনারুঘাট, তেলিয়াপাড়া এলাকায় যুদ্ধে অংশ নিই এবং আশুগঞ্জে যুদ্ধের সময় আহত হয়ে আগরতলায় চিকিৎসা নিই।

তিনি আরও জানান, ২৫ মে কলকাতায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পর তাঁকে শিল্পী আব্দুল জব্বারকে শরণার্থীদের জন্য অনুষ্ঠান করতে বলা হয়। পরে তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ বেতারে কর্মরত ছিলেন।

শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী নাসরিন মাহমুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন ঘোষাল, আশরাফুল আলম, জাহাঙ্গীর হায়াত খান, সুভাষ সাহা প্রমুখ।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক শাহিনা খাতুন বলেন, “আপেল মাহমুদের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় কাগজপত্র মৌখিক সাক্ষ্যে নির্ভরযোগ্যভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি শুধু গান দিয়ে উদ্বুদ্ধ করেননি, সম্মুখযুদ্ধেও অংশ নিয়েছেন। তাই তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই স্বীকৃত।

উল্লেখ্য, আপেল মাহমুদের রচিত সুরারোপিতমোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করিগানটি ২০০৬ সালে বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা বাংলা গানের তালিকায় সপ্তম স্থানে উঠে আসে। তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীত, লালনগীতি, গণসঙ্গীত আধুনিক গানেও বিশেষভাবে খ্যাত। সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৫ সালে তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।

 

You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?

আমাদের অনুসরণ করুন

জনপ্রিয় বিভাগ

সাম্প্রতিক মন্তব্য