বাংলাদেশি কর্মীদের স্বার্থ রক্ষায় কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস নতুন নিয়মচালু করেছে। দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুধুমাত্র নিয়োগকর্তা (মালিক) কর্তৃক জমাকৃত একক ভিসা সত্যায়নের আবেদন গ্রহণ করা হবে।
২০২৪ সালে কুয়েত প্রশাসন বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে আবাসন আইন লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৩৫ হাজার প্রবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। বৈধ ভিসায় কুয়েতে আসার পর স্থানীয় আইন ও ভিসার ধরন সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় অনেকে কাজ না পেয়ে অবৈধভাবে অবস্থান করতে বাধ্য হচ্ছেন।
কুয়েত থেকে ফেরত পাঠানো বেশিরভাগ অভিবাসী পুনরায় ভিসা নিয়ে দেশটিতে প্রবেশের যোগ্যতা হারাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাংলাদেশি প্রবাসী জানান, কুয়েতে বাংলাদেশের শিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত বেকার যুবকেরা সাধারণত ‘ব্যক্তিগত কফিল’ গৃহকর্মী (২০ নম্বর ভিসা) বা ‘ছোট কোম্পানি’ (১৮ নম্বর ভিসা) নিয়ে ৭ থেকে ৯ লাখ টাকা খরচ করে আসেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে মধ্যস্বত্বভোগী বা দালালের ভুল প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পড়ে প্রতারিত হচ্ছেন।
কুয়েত পৌঁছানোর পর অনেক নিয়োগকর্তা (কফিল) অনুমতি বাতিল করে নতুন ব্যক্তিকে নিয়োগ দিচ্ছেন। আবার, কিছু মালিক ভিসা দিয়ে কোনো কাজ না দিয়ে কর্মীদের ছেড়ে দিচ্ছেন। ফলে প্রবাসীরা অন্যত্র কাজ খুঁজতে গিয়ে কুয়েতের আবাসন আইন লঙ্ঘন করছেন।
যারা ধরা পড়ছেন, তাদের জরিমানা, ছয় মাসের মধ্যে দেশত্যাগের হলুদ পেপার বা কালো তালিকাভুক্তির মতো শাস্তির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কুয়েত না ছাড়লে তারা ভবিষ্যতে দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ হারাচ্ছেন।
প্রতারণা এড়াতে ও কুয়েতে অবৈধ অবস্থান ঠেকাতে বাংলাদেশি কর্মীদের আরও সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?