হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে যে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কয়েকজন শীর্ষ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা জোরপূর্বক গুমের ঘটনায় জড়িত ছিলেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গুমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা এইচআরডব্লিউকে জানিয়েছেন যে, শেখ হাসিনা ও তার সরকারের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা গুমের বিষয়ে অবগত ছিলেন এবং কিছু ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা সরাসরি গুম ও হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর গোপন আটক কেন্দ্র থেকে তিনজনকে মুক্তি দেওয়া হয়, যাদের আটক থাকার বিষয়টি কর্তৃপক্ষ পূর্বে অস্বীকার করেছিল। গুমের শিকার আইনজীবী মীর আহমাদ বিন কাসেম জানান, তাকে এমন একটি স্থানে আটক রাখা হয়েছিল, যা বন্দীদের মৃত্যুর চেয়েও খারাপ অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য নিখুঁতভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল।
এইচআরডব্লিউ তাদের প্রতিবেদনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া, আটক কেন্দ্রগুলোতে স্বাধীন বেসামরিক তদারকি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো রাজনীতিকরণ হয়েছিল এবং তারা শাসক দলের ক্যাডার হিসেবে কাজ করেছিল।
উল্লেখ্য, জাতীয় তদন্ত কমিশন ২০২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর তাদের প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি জোরপূর্বক গুমের ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?