মার্চ মাসের প্রথম ১৯ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে এসেছে ২২৫ কোটি ডলার প্রবাসী আয়, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭৮.৪ শতাংশ বেশি। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) এর পরিমাণ প্রায় ২৭,৪৭৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গড়ে প্রতিদিন দেশে এসেছে ১১ কোটি ৮৫ লাখ ডলার।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে মার্চ মাসে রেমিট্যান্স ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা নতুন রেকর্ড গড়বে। সাধারণত ঈদ উপলক্ষে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ে, এবারের প্রবাহও সেই ধারাই অনুসরণ করছে।
এর আগে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সর্বোচ্চ ২৬৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল, যা দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতেও প্রায় ২৫৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অর্থপাচার ও হুন্ডি কারবার কমেছে, যার ফলে প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন। বর্তমানে ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের মূল্য খোলাবাজারের সমান, যা প্রবাসীদের বৈধ পথে অর্থ পাঠানোর অন্যতম কারণ।
প্রবাসীরা ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পরিবারের জন্য অতিরিক্ত অর্থ পাঠাচ্ছেন, যার ফলে রেমিট্যান্সের প্রবাহ আরও বেড়েছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২,০৭৫ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭% বেশি। গত ১৫ দিনে দেশে ১৬৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল, আর শুধুমাত্র ১৯ মার্চেই এসেছে ১৩.২ কোটি ডলার।
এই ধারা অব্যাহত থাকলে, মার্চে রেমিট্যান্স প্রবাহ নতুন রেকর্ড গড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?