যুক্তরাষ্ট্রে ডিমের দাম পৌঁছেছে সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। বর্তমানে দেশটিতে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ৬ দশমিক ২৩ ডলারে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭৬০ টাকা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশিত নতুন পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মার্চ মাসে ডিমের গড় দাম ছিল ৬.২৩ ডলার, যা এক বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। জানুয়ারি মাসে এ দাম ছিল ৪.৯৫ ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে দাঁড়ায় ৫.৯০ ডলারে। নতুন এই মূল্য অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
গত মাসে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রে ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমে এসেছে। তিনি এর জন্য কৃষিমন্ত্রী ব্রুক রোলিন্স-কে কৃতিত্ব দেন। তবে বাজার বিশ্লেষক ও ভোক্তারা এই দাবিকে বাস্তবতার সঙ্গে মিলছে না বলে উল্লেখ করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিমের দাম বৃদ্ধির প্রধান কারণ ‘বার্ড ফ্লু’ মহামারি। ২০২২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বার্ড ফ্লুর প্রাদুর্ভাব চলছে। চলতি বছরে এ রোগে একজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে প্রায় ৩ কোটি ডিম দেওয়া মুরগি নিধন করতে বাধ্য হয়েছে দেশটির খামারিরা।
বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী, যদি কোনো খামারে একটি মুরগিও বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়, তাহলে পুরো খামারের মুরগি নিধনের নির্দেশ রয়েছে। যদিও সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, গত দুই সপ্তাহে নতুন করে বার্ড ফ্লুর কোনো প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি। তবে, ডিম উৎপাদন ব্যবস্থা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে সময় লাগছে। বার্ড ফ্লুর প্রভাব শুধু পাখিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, এটি দুগ্ধজাত গবাদি পশুর মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে সামনের মাসগুলোতেও ডিমের দাম চড়া থাকতে পারে, যার প্রভাব পড়বে সাধারণ ভোক্তা থেকে শুরু করে পুরো খাদ্যখাতে।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?