clock ,

ফ্যাসিবাদবিরোধী বার্তা নিয়ে শেষ হলো বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা

ফ্যাসিবাদবিরোধী বার্তা নিয়ে শেষ হলো বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা

বাংলা নববর্ষ উদযাপনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা এবছরফ্যাসিবাদবিরোধী মুখাকৃতিপ্রধান মোটিফ সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শোভাযাত্রা শুধু সাংস্কৃতিক আয়োজন নয়, এবার তা হয়ে উঠেছে জাতিগত বৈচিত্র্য রাজনৈতিক প্রতিরোধের রঙিন প্রকাশ। সোমবার সকাল ৯টা মিনিটে চারুকলার সামনে থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি শাহবাগ, টিএসসি, শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা ঘুরে সাড়ে ১০টায় আবার চারুকলায় গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রার শুরুতেই অংশ নেয় ২৮টি জাতিগোষ্ঠী, যাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক নৃত্য সংগীত ছিল শোভাযাত্রার অন্যতম আকর্ষণ। মারমা, চাকমা, ম্রো, ত্রিপুরা, খাসিয়া, মনিপুরী, রাখাইনসহ বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী পরিবেশনা বাঙালির বর্ষবরণকে সকল জনগোষ্ঠীর উৎসবে পরিণত করে।

এবারের শোভাযাত্রায় কেন্দ্রীয়ভাবে উপস্থাপিত হয়ফ্যাসিবাদী মুখাকৃতি’, যা সামাজিক রাজনৈতিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর বার্তা বহন করে। এর পাশাপাশি আরও ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ মোটিফ ছিল বাঘ, মাছ, পাঁচ পাতার শান্তির পায়রা, পালকি, গণঅভ্যুত্থানথেকে নেওয়াপানি লাগবে’, ‘৩৬ জুলাই’-এর ব্যঙ্গচিত্র, ‘ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতিজানিয়ে তরমুজের ফালি।

মোটিফের পেছনে ছিল ১০০ ফুট দীর্ঘ পটচিত্র, যার মধ্যে ছিল বেহুলা-লখিন্দর, গাজীর পট, বনবিবি বাংলাদেশ বিষয়ক নানা ঐতিহ্যবাহী চিত্র।শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন,“এটা শুধু বাঙালির উৎসব নয়, এটা বাংলাদেশের সব জাতিগোষ্ঠীর উৎসব। এটা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐক্যের উদাহরণ।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন,“আজকের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। কিছু প্রতিকূলতা থাকলেও আমরা সংস্কৃতির জয়গান দিয়েছি। সামনে তাকিয়ে আমরা আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়তে চাই।

শোভাযাত্রায় বিভিন্ন রাজনৈতিক প্ল্যাকার্ডও দেখা গেছে, যার মধ্যে ছিল, “হাসিনার বিচার কর”, “জুলাই গণহত্যার বিচার কবে?”, “ভারতের সঙ্গে অসম চুক্তি বাতিল কর”, “নদী বাঁচাওডিএমপি অশ্বারোহী দল, র‌্যাব, সোয়াট প্রক্টরিয়াল টিমের নিরাপত্তায় শোভাযাত্রা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়।

চারুকলার বাইরে, সকাল ৮টায় কলা ভবনের বটতলায় অনুষ্ঠিত হয় সাংগীতিক বর্ষবরণ।
বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারিপ্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয়আনন্দলোকে মঙ্গলালোকেসহ রবীন্দ্রসংগীত। তবলায় ছিলেন নিরূপম প্রামাণিক, বাঁশিতে কানন। আয়োজন সঞ্চালনা করেন সংগীত বিভাগের চেয়ারপারসন প্রিয়াঙ্কা গোপ।

 

You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?

আমাদের অনুসরণ করুন

জনপ্রিয় বিভাগ

সাম্প্রতিক মন্তব্য