নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথ গ্রহণের পর দেওয়া প্রথম ভাষণে পানামা খাল ফের যুক্তরাষ্ট্রের দখলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ১৯৯৯ সালে পানামার সঙ্গে কৌশলগত এই জলপথের চূড়ান্ত হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা হয়েছে এবং এর কার্যক্রম চীনের কাছে হস্তান্তরের অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা এটা চীনকে দেইনি, আমরা এটা পানামাকে দিয়েছি এবং আমরা এটা ফিরিয়ে নিচ্ছি।” তিনি পানামা খালের ওপর মার্কিন নিয়ন্ত্রণ পুনর্বহালের অঙ্গীকার করেন। তবে পানামা সরকার ট্রাম্পের অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প পানামা খাল ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে কথা বলে আসছেন। তার অভিযোগ, মার্কিন জাহাজের সঙ্গে ‘অন্যায্য’ আচরণ করা হচ্ছে এবং চীনের প্রভাব খালটির কার্যক্রমে ক্রমশ বাড়ছে।
তবে আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পানামা খাল সরাসরি চীনের নিয়ন্ত্রণে নেই। ১৯৯৭ সাল থেকে হংকংভিত্তিক করপোরেশন সিকে হাচিসন হোল্ডিংস খালের ক্যারিবীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরের প্রবেশমুখে থাকা দুটি বন্দর পরিচালনা করে আসছে। পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো কুইন্টেরো ট্রাম্পের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পানামা খালের ওপর চীনের কোনো প্রভাব নেই।
প্রসঙ্গত, প্রশান্ত মহাসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যে সংযোগ ঘটাতে তৈরি এই কৃত্রিম জলপথ বৈশ্বিক বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। বছরে প্রায় ১৪ হাজার জাহাজ খালটি ব্যবহার করে, যা বৈশ্বিক বাণিজ্যের ২.৫ শতাংশ এবং মার্কিন কনটেইনার পরিবহনের ৪০ শতাংশের বেশি পরিবহন করে। এশিয়া থেকে পণ্য আমদানি এবং এলএনজি সহ অন্যান্য পণ্য রপ্তানির জন্য পানামা খাল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?