clock ,

দুই দেশের বাণিজ্যঘাটতি কমাতে মার্কিন পণ্যে শুল্ক ছাড় দিচ্ছে বাংলাদেশ

দুই দেশের বাণিজ্যঘাটতি কমাতে মার্কিন পণ্যে শুল্ক ছাড় দিচ্ছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক বৃদ্ধির জবাবে দুই দেশের বাণিজ্যঘাটতি কমাতে আমদানি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে শুল্ক ছাড় দেওয়া, আমদানি নীতিতে সংশোধনী আনা এবং শুল্ক অশুল্ক বাধা দূর করার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

গতকাল শনিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে দুই-এক দিনের মধ্যেই বাংলাদেশের অবস্থানপত্র তৈরি করা হবে। এরপর শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানানো হবে।

গত এপ্রিল (বাংলাদেশ সময় বুধবার দিবাগত রাত ২টা) হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করার ঘোষণা দেন। এতে দেশের পোশাক রপ্তানিসহ বিভিন্ন খাতের উদ্যোক্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এই পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, প্রতিষ্ঠান স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে নির্দেশ দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, শনিবার সকাল থেকেই আলোচনা শুরু হয় এবং সন্ধ্যায় বসে জরুরি বৈঠক।

উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ নীতিনির্ধারক পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে দেশভিত্তিক বাণিজ্য ঘাটতির ওপর ভিত্তি করে পৃথকভাবে শুল্ক আরোপ করছে। তবে আমরা এটিকে সম্ভাবনা হিসেবেও দেখছি। আমদানি বাড়িয়ে ঘাটতি কমানোই এখন লক্ষ্য।

তিনি জানান, সয়াবিন তেল, তুলা, শিল্প পণ্য, যন্ত্রাংশ এবং জ্বালানি পণ্যের মতো আমদানিযোগ্য মার্কিন পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক ছাড় প্রণোদনা বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, “মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী এপ্রিলের মধ্যে একটি অবস্থানপত্র তৈরি করে দেওয়া হবে। এরপর আমরা আমাদের অনুরোধ তাদের কাছে পাঠাব।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমরা বিষয়ে সজাগ ছিলাম। এমনকি ফেব্রুয়ারি মাসেই প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ . খলিলুর রহমান বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের ধারাবাহিক আলোচনা চলছে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাব এবং বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ করব।

প্রসঙ্গত: যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি গন্তব্য। তৈরি পোশাক খাত থেকে দেশটি প্রতিবছর কয়েক বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে থাকে। শুল্ক বৃদ্ধি খাতে বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।

 

You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?

আমাদের অনুসরণ করুন

জনপ্রিয় বিভাগ

সাম্প্রতিক মন্তব্য