জার্মানির ব্যবসায়িক খাতে নারী নেতৃত্ব নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রাসেল রেনল্ডসের এক গবেষণা অনুযায়ী, কর্মক্ষেত্রে লৈঙ্গিক সমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এ উন্নয়ন দেশটির জন্য ইতিবাচক অগ্রগতির ইঙ্গিত।
নারীর
অংশগ্রহণ বৃদ্ধি
২০২৪ সালে জার্মানির পুঁজিবাজারে
তালিকাভুক্ত ৪০টি কোম্পানির ঊর্ধ্বতন
পদে নারীর অংশগ্রহণ ২৫.৪ শতাংশ,
যা ২০২৩ সালের তুলনায়
২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ২০২০
সালে এ হার ছিল
মাত্র ১৩.৩ শতাংশ।
এছাড়া, প্রথমবারের মতো ড্যাক্স-তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে চারজন নারী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তারা হলেন:
বেটিনা অরলপ (কমার্স ব্যাংক)
কারিন রাডস্ট্রম (ডাইমলার ট্রাক)
বেলেন গারিহো (মার্ক)
হেলেন গিজা (ফ্রেসনিয়াস মেডিকেল কেয়ার)।
আইনের
ভূমিকা
২০২০ সালে পাস হওয়া
বাধ্যতামূলক কোটার আইন এই অগ্রগতির
পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।
আইনে বলা হয়েছিল, তালিকাভুক্ত
কোম্পানির তিন বা তার
বেশি সদস্যের ব্যবস্থাপনা বোর্ডে অন্তত একজন নারী থাকতে
হবে। যদিও শুরুতে অনেক
কোম্পানি এই আইনের বিরোধিতা
করেছিল।
আন্তর্জাতিক
প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে
তবে গবেষণায় দেখা গেছে, জার্মানি
এখনো যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্সের মতো
দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে।
যুক্তরাজ্যে শীর্ষ ব্যবস্থাপনায় নারীদের অংশগ্রহণ ৩২.১ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রে ৩০.১ শতাংশ।
ফ্রান্সে ২৮.৮ শতাংশ।
সুইডেনে ২৮.২ শতাংশ।
চ্যালেঞ্জ
ও প্রগতি
ড্যাক্স-তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে ১২টি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা
বোর্ডে এক-তৃতীয়াংশ বা
তার বেশি সদস্য নারী।
কমার্জব্যাংক এবং সিমেন্স হেলথিনিয়ার্সে
এই হার ৫০ শতাংশ।
তবে পোরশে একমাত্র কোম্পানি, যেখানে কোনো নারী শীর্ষ
ব্যবস্থাপনায় নেই।
রাসেল রেনল্ডসের ইউরোপীয় বোর্ডের প্রধান জেন্স-থমাস পিয়েট্রালা বলেন, "লৈঙ্গিক বৈচিত্র্য কোনো সাময়িক প্রবণতা নয়; বরং এটি অর্থনৈতিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।"
তবে, গাড়ি শিল্পে নারীদের উপস্থিতি এখনো কম, যদিও জ্বালানি, বীমা এবং আর্থিক খাতে তাদের অংশগ্রহণ তুলনামূলক ভালো।
কোটা
বনাম সমন্বিত উদ্যোগ
অলব্রাইট ফাউন্ডেশনের মতে, কোটা নির্ধারণ
না করেও যুক্তরাজ্যের মতো
দেশগুলো নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে পেরেছে। তাদের মতে, জার্মানির উচিত
কোটার বিতর্কের বাইরে গিয়ে প্রতিটি স্তরে
নারীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি
করা।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?