বিশ্ববিখ্যাত হলিউড অভিনেত্রী ও মানবাধিকারকর্মী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি আবারও ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি তার সমর্থন প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে গাজায় চলমান সংকট নিয়ে একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন, যা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (MSF)-এর পক্ষ থেকে প্রকাশিত।
শনিবার প্রকাশিত সেই পোস্টে গাজার বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘ফিলিস্তিনিদের ও তাদের সহায়তাকারীদের জন্য এক গণকবর’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। জোলি প্রায় দুই দশক ধরে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের শুভেচ্ছাদূত এবং পরে বিশেষ দূতের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
শেয়ার করা প্রতিবেদনে বলা হয়, “ইসরায়েলি বাহিনী যখন আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথে গাজায় সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু করছে, তখন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি ও মানবিক সহায়তা বাধাগ্রস্ত করার মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের জীবনব্যবস্থা পদ্ধতিগতভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে।”
এতে আরও বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলা শুধু সাধারণ মানুষের জীবন নয়, বরং মানবিক সহায়তা প্রদানকারী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তাকেও হুমকির মুখে ফেলেছে।
ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস এক বিবৃতিতে গাজায় ইসরায়েলের ‘অমানবিক ও প্রাণঘাতী অবরোধ’ অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে তারা মানবিক সহায়তা এবং চিকিৎসাসেবা প্রদানকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে একটি টেকসই যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৫১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
এছাড়া, গাজায় চালানো অভিযানকে ঘিরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার মামলাও চলছে।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?