সিঙ্গাপুরের চেকপয়েন্টে এক সপ্তাহের অভিযানে ৫০ জনেরও বেশি যাত্রীকে অবৈধভাবে নগদ অর্থ বহন করে প্রবেশ ও প্রস্থানের অপরাধে জরিমানা ও সতর্ক করা হয়েছে। গত ১৯ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড চেকপয়েন্টস অথরিটি (ICA), সিঙ্গাপুর কাস্টমস এবং স্বাস্থ্য বিজ্ঞান কর্তৃপক্ষ (HSA) এর যৌথ অভিযানে স্থল, সমুদ্র এবং বিমান চেকপয়েন্টে প্রায় ১১,০০০ যাত্রী এবং ১৬,০০০ এর বেশি লাগেজ পরীক্ষা করা হয়। গত ১ মার্চ কর্তৃপক্ষ এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৩৭ থেকে ৫২ বছর বয়সী চারজন পুরুষ এবং ৬৩ বছর বয়সী এক নারী নগদ অর্থ বহনের ঘোষণা না করে সিঙ্গাপুরে প্রবেশ ও বের হওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগে ধরা পড়েছেন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি, ৫২ বছর বয়সী একজন পুরুষ ২৩,০০০ ডলার মূল্যের বিভিন্ন মুদ্রা সিঙ্গাপুরে নিয়ে আসার সময় ধরা পড়েন। পরের দিন, ৩৭ বছর বয়সী এক পুরুষ সিঙ্গাপুর ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন এবং তার কাছে ৫০,০০০ ডলার নগদ অর্থ ছিল, যা তিনি ঘোষণা করেননি। আরেকটি ঘটনায়, ৪৮ বছর বয়সী এক পুরুষ সিঙ্গাপুরে ৩৪,০০০ ডলার মূল্যের বিভিন্ন মুদ্রা নিয়ে প্রবেশ করার সময় ধরা পড়েন। ২৪ ফেব্রুয়ারি, ৪৪ বছর বয়সী এক পুরুষ সিঙ্গাপুরে প্রবেশ করার সময় ৪২,০০০ ডলার মূল্যের নগদ অর্থ ঘোষণা না করায় ধরা পড়েন। ২৫ ফেব্রুয়ারি, ৬৩ বছর বয়সী এক নারী ৯৩,০০০ ডলার মূল্যের নগদ অর্থ ঘোষণা না করে সিঙ্গাপুরে প্রবেশ করার চেষ্টা করার সময় ধরা পড়েন। এই পাঁচজন বিদেশী যাত্রীর মধ্যে একজনকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে, অন্য চারজনকে মোট ২১,০০০ ডলার জরিমানা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যারা সিঙ্গাপুরে প্রবেশ বা প্রস্থান করেন এবং তাদের কাছে ২০,০০০ বা তার বেশি নগদ অর্থ, অথবা বৈদেশিক মুদ্রায় তার সমপরিমাণ অর্থ থাকলে ইলেকট্রনিক ঘোষণাপত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এই অভিযানে আরও ৫৩ জন যাত্রী ধরা পড়েছেন, যারা সিগারেট বা তামাক পণ্য, মদ বা তাদের পণ্য এবং পরিষেবা কর (GST) কোটার অতিরিক্ত পণ্য ঘোষণা বা কর পরিশোধ করেননি। কর্তৃপক্ষ জানতে পারে যে মোট ১,২৮৫ শুল্ক এবং GST ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। তাদের মোট ২১,৪৫৫ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। ধৃত যাত্রীদের মধ্যে ৪৫ বছর বয়সী পুরুষ ২৪ প্যাকেট সিগারেট বহন করছিলেন, ৫৭ বছর বয়সী একজন পুরুষ চার লিটার মদ নিয়ে এসেছিলেন, এবং ১৯ বছর বয়সী এক নারী যিনি এঝঞ আমদানি শুল্ক কোটার অতিরিক্ত ছয়টি খেলনা নিয়ে এসেছিলেন।
অফিসাররা ২৪ ফেব্রুয়ারি ২৯ বছর বয়সী এক পুরুষকে আটক করেন, যিনি একটি ই-ভ্যাপোরাইজার নিয়ে আসছিলেন। তাকে পরবর্তীতে HSA কর্তৃক জরিমানা করা হয়। যারা ই-ভ্যাপোরাইজার আমদানি, বিতরণ, বিক্রয় বা বিক্রয়ের জন্য প্রস্তাব করবেন, তাদের ২০,০০০ পর্যন্ত জরিমানা বা ১২ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
যারা কাস্টমস শুল্ক বা এক্সাইজ শুল্কে কোনো প্রতারণামূলক ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করবেন, তাদের জরিমানা হতে পারে শুল্ক এবং GST ফাঁকি দেওয়ার পরিমাণের ২০ গুণ পর্যন্ত, অথবা ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। যারা ২০,০০০—এর বেশি নগদ অর্থ বহনের ঘোষণা করতে ব্যর্থ হবেন, তাদের তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, ৫০,০০০ পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়ই হতে পারে।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?