সিঙ্গাপুরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো মৌলিক কবিতা ও গানের এক মনোমুগ্ধকর সন্ধ্যা—‘ঘুমোবো জোছনা জলে’। শনিবার সন্ধ্যায় সিফাস এনেক্স অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে মুগ্ধতা ছড়ায় বাংলা কবিতা ও সঙ্গীতের সম্মিলিত পরিবেশনা।
যৌথভাবে এ আয়োজন করে ‘সংগীতাঙ্গন সিঙ্গাপুর’ এবং ‘কহন আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র’। আয়োজনটি ছিল একটি মৌলিক কবিতা ও গানের যুগলবন্দী প্রযোজনা, যেখানে কবিতা ও গানের রচয়িতা ছিলেন ফয়েজ তৌহিদুল ইসলাম। সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন মনজুরুল মান্নান।
কবিতা আবৃত্তি করেন ‘কহন আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র’ সিঙ্গাপুরের সদস্য মুশফেকা মিতু, মৌসুমী মুখোপাধ্যায়, তৌহিদা রহমান টিনা, এ কে এম মাজহারুল আবেদীন, সৈকত চৌধুরী, মো. আজিজুল ইসলাম, মো. হায়দার আলী মাসুম। সঙ্গীত পরিবেশন করেন ‘সংগীতাঙ্গন সিঙ্গাপুর’-এর শিক্ষক ও সঙ্গীত শিল্পী সোমদত্তা গোস্বামী, অলিম্পন মুখার্জীম, সুসান দে ও মনজুরুল মান্নান। যন্ত্রসঙ্গীতে অংশ নেন রোনাল্ড টনি হীরা (কিবোর্ড) , মনজুরুল মান্নান (হারমোনিয়াম) ও শুভেন্দু মুখার্জী (তবলা)।
‘কহন আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র’-এর সদস্য মাজহারুল আবেদীন জানান, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দর্শক-শ্রোতারা মনোযোগ ও আগ্রহের সঙ্গে পরিবেশনা উপভোগ করেছেন। প্রবাসে বসবাস করলেও বাংলা সংস্কৃতির প্রতি মানুষের টান ও ভালোবাসা যে কতটা গভীর, তার প্রতিফলন ঘটেছে এই আয়োজনে। ‘সঙ্গীতাঙ্গন সিঙ্গাপুর’-এর চেয়ারম্যান জাহানারা খান বেবী বলেন, “এই আয়োজন আমাদের সংস্কৃতির ধারাবাহিক চর্চার একটি অংশ। ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে এমন আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা।অনুষ্ঠানের ছবি ও ভিডিও ধারণে ছিলেন ড. মশিউর রহমান।
বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সঙ্গীতকে প্রবাসে ধরে রাখার এই প্রয়াস নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। সংস্কৃতিপ্রেমীদের মতে, এই আয়োজন শুধুমাত্র বিনোদনের নয়, এটি ছিল সংস্কৃতির চর্চা ও উত্তরাধিকার প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটি অনন্য প্রয়াস।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?