বাংলাদেশ সরকার জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সাত দেশের আটটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তি (জিটুজি) অনুযায়ী পরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ের জন্য প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স প্রাইস ভিত্তিতে এ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে, যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৪৭৯ কোটি ৪ লাখ টাকা।
গতকাল সচিবালয়ে অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সার, সয়াবিন তেল এবং মসুর ডাল কেনাসহ আরও কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাব অনুযায়ী থাইল্যান্ডের পিটিটিটি, ওমানের ওকিউটি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইনোক, চীনের পেট্রোচায়না ও ইউনিপেক, ইন্দোনেশিয়ার বিএসপি, মালয়েশিয়ার পিটিএলসিএল এবং ভারতের আইওসিএল থেকে পাঁচ ক্যাটাগরির পরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনা হবে। এর মধ্যে রয়েছে:
- ৮ লাখ ৮০ হাজার টন গ্যাস অয়েল (ডিজেল)
- ১ লাখ ৯০ হাজার টন জেট এ-১ ফুয়েল
- ৭৫ হাজার টন মোগ্যাস (অকটেন)
- ২ লাখ ৫০ হাজার টন ফার্নেস অয়েল
- ৩০ হাজার টন মেরিন ফুয়েল।
সার আমদানির সিদ্ধান্ত:
শিল্প মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী কাতার, সৌদি আরব এবং মরক্কো থেকে সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
- কাতার এনার্জি মার্কেটিং থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১২৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা (প্রতি টন ৩৫৪.৬৭ ডলার)।
- সৌদি আরবের মাদেন থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানিতে ব্যয় হবে ২৯৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা (প্রতি টন ৬১৭ ডলার)।
- মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১৫৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা (প্রতি টন ৪৪০ ডলার)।
সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল কেনা:
টিসিবি ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল কেনা হবে।
- সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড থেকে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে, যার ব্যয় ১৮৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা (প্রতি লিটার ১৭১.৯৫ টাকা)।
- শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনা হবে, যার ব্যয় ৯৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা (প্রতি কেজি ৯৪.৯৫ টাকা)।
অন্যান্য অনুমোদন:
- ই-জিপি সিস্টেম উন্নয়ন: আইএমইডি-এর ডিজিটাইজিং প্রকল্পে দোহাটেক নিউ মিডিয়া এবং জিএসএস ইনফোটেকের সেবা গ্রহণের সময় এক বছর বাড়ানো হয়েছে। এজন্য ব্যয় হবে ৪২ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
- রেল প্রকল্প:
- সিলেট-ছাতক বাজার সেকশন ট্র্যাক পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে ২১৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বরাদ্দ।
- ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ডুয়াল গেজ রেললাইন নির্মাণে ৩১৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বরাদ্দ।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?