লিবিয়া উপকূলে অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেছে, যেখানে বেশ কিছু পাকিস্তানি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক ছিলেন। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ৬৫ জন অভিবাসী নিয়ে নৌকাটি লিবিয়ার জাওইয়া শহরের মারশা দেলা বন্দরের কাছে ডুবে যায়। ত্রিপোলিতে অবস্থিত পাকিস্তানি দূতাবাসের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। মৃতদের পরিচয় শনাক্তের পাশাপাশি, ক্ষতিগ্রস্ত পাকিস্তানিদের বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ইউনিট (সিএমইউ) এ ঘটনায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য সক্রিয় করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য হেল্পলাইন (০৫১-৯২০৭৮৮৭) চালু করা হয়েছে। এছাড়া, ত্রিপোলিতে কর্মরতদের জন্য (০৩০৫২১৮৫৮৮২ – হোয়াটসঅ্যাপ), (+২১৮৯১৩৮৭০৫৭৭ – সেলফোন) এবং (+২১৮৯১৬৪২৫৪৩৫ – হোয়াটসঅ্যাপ) নম্বরে যোগাযোগের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকাডুবির ঘটনা বেড়েছে। জানুয়ারিতে মৌরিতানিয়া থেকে স্পেন যাওয়ার পথে ৮৬ জন যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা ডুবে যায়, যার মধ্যে ৬৬ জন ছিলেন পাকিস্তানি। সেই ঘটনায় কমপক্ষে ৪০ জন পাকিস্তানি মারা যান, আর ৩৬ জনকে উদ্ধার করা হয়।২০২৪ সালের ১৩-১৪ ডিসেম্বর, গ্রিস উপকূলে ৮০ জন পাকিস্তানি যাত্রী নিয়ে আরও একটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
মানবপাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের প্রশাসন মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।৩৫ জন কেন্দ্রীয় তদন্ত কমিটি (এফআইএ) শীর্ষ দুই কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে, কয়েকজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।তদন্তে ধীরগতির কারণে সাবেক পরিচালক জেনারেল আহমেদ ইসহাক জাহাঙ্গীরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অবৈধ উপায়ে ইউরোপে যাওয়ার প্রবণতা থামাতে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে, তবে মানবপাচারকারীদের দৌরাত্ম্য ও বিপজ্জনক অভিবাসন প্রক্রিয়া রোধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?