চলমান ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আবহে ভারতীয় আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাফল্যে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। সংঘর্ষকালীন সময়ে ৬০০-রও বেশি পাকিস্তানি ড্রোন ধ্বংস করেছে ভারত, এমনটাই দাবি করা হয়েছে এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার প্রকাশিত বিশেষ প্রতিবেদনে।
ঘটনার সূত্রপাত জম্মু-কাশ্মীরের পহলগামে জঙ্গি হামলায়, যেখানে একাধিক নিরাপত্তা কর্মী শহিদ হন। এর জবাবে ভারত শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুর’, যার মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এই অভিযানে নিহত হয় প্রায় ১০০ জন সশস্ত্র জঙ্গি, দাবি ভারতের নিরাপত্তা সূত্রের।
প্রতিশোধ নিতে পাকিস্তান ভারতের একাধিক সীমান্তবর্তী শহরে মিসাইল ও ড্রোন হামলার চেষ্টা করে। কিন্তু ভারতের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা—বিশেষ করে রাশিয়া থেকে কেনা এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ এবং দেশীয়ভাবে নির্মিত ‘আকাশ’ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম—সেই হামলা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী, ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী সংঘর্ষ চলাকালীন ধ্বংস করেছে ৬০০-রও বেশি পাক ড্রোন। এটি ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ড্রোন ভূপাতনের ঘটনা, যা দেশের প্রযুক্তিগত সক্ষমতার এক বাস্তব উদাহরণ।
ড্রোন প্রতিরোধে নিয়ন্ত্রণ রেখায় মোতায়েন করা হয়েছিল ১০০০-এর বেশি অ্যান্টি-এয়ারক্র্যাফ্ট গান এবং ৭৫০টিরও বেশি স্বল্প-পাল্লার সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল (SAM)। এর ফলে পাকিস্তানের যুদ্ধকৌশল কার্যত ভেস্তে যায়। এস-৪০০ ও আকাশ সিস্টেমের সমন্বিত প্রতিরক্ষা বেষ্টনিতে প্রায় প্রতিটি ড্রোন আকাশেই ধ্বংস করা হয়, যার ফলে মাটিতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ভারতীয় কূটনৈতিক মহল এই ঘটনাকে পাকিস্তানের ‘পরোক্ষ যুদ্ধ ঘোঁটা’ কৌশলের অংশ হিসেবে দেখছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সীমান্ত অঞ্চলে ড্রোনের মাধ্যমে আক্রমণ করে ভারতকে চাপের মধ্যে ফেলতে চেয়েছিল ইসলামাবাদ। তবে ভারতীয় প্রতিরক্ষাব্যবস্থার আধুনিকীকরণ ও প্রস্তুতি এবার কার্যকরভাবে তা প্রতিহত করতে পেরেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনার পর ভারতের উচিত সীমান্তে ড্রোন প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা, বিশেষ করে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে। একইসঙ্গে এলজিএস (Loitering Guided Systems) ও স্বয়ংক্রিয় রাডার প্রযুক্তি উন্নয়নেও আরও জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?