clock ,

পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের হয়ে কাজের অভিযোগে গ্রেপ্তার জনপ্রিয় মহিলা ইউটিউবারসহ ৬ জন

পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের হয়ে কাজের অভিযোগে গ্রেপ্তার জনপ্রিয় মহিলা ইউটিউবারসহ ৬ জন

ভারতের নিরাপত্তার জন্য এক চাঞ্চল্যকর হুমকি হিসেবে ধরা পড়ল তথ্য পাচারচক্র। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করার অভিযোগে জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন এক জনপ্রিয় মহিলা ইউটিউবার, যিনি নিজের ভ্রমণ ভিডিওর জন্য পরিচিত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতের গোপন তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম স্ন্যাপচ্যাটের মতো অ্যাপে পাচার করার অভিযোগ উঠেছে।

ধৃত ইউটিউবারের নাম জ্যোতি মালহোত্রা। তিনি হরিয়ানার বাসিন্দা এবং ‘Travel with Jo’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল চালাতেন। তদন্তে উঠে এসেছে, ২০২৩ সালে তিনি পাকিস্তান সফরকালে নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ স্থাপন করেন। ভারত সরকার গত ১৩ মে ওই পাক কর্মকর্তাকেঅবাঞ্ছিত ব্যক্তি (Persona Non Grata)’ ঘোষণা করে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে।

জ্যোতির বিরুদ্ধে অভিযোগ, দানিশের মাধ্যমে তিনি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার আরও সদস্যদের সঙ্গে পরিচিত হন এবং ভারত সরকারের গোপন তথ্য নিয়মিতভাবে পাচার করতে শুরু করেন। তাঁর মোবাইল ফোনে পাওয়া গেছে এক পাকিস্তানি এজেন্ট শাকির ওরফে রানা শাহবাজের নামজাঠ রানধাওয়াহিসেবে সংরক্ষিত।

এই জাল ছড়িয়েছিল হরিয়ানা পাঞ্জাব রাজ্যজুড়ে। গ্রেপ্তার হওয়া অপরদের মধ্যে রয়েছেন পাঞ্জাবের গুজালা (৩২) নামের এক মহিলা, যিনি চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান হাইকমিশনে ভিসার জন্য আবেদন করতে গিয়ে দানিশের সঙ্গে পরিচিত হন। তদন্তে জানা গেছে, দুজনের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল এবং দানিশ তাঁকে অনলাইনে আর্থিক সহায়তা পাঠিয়েছিলেন।

গ্রেপ্তার হওয়া অন্য চারজন হলেন ইয়ামিন মোহাম্মদ (মালেরকোটলা, পাঞ্জাব), দেবিন্দর সিং ধিলন (কৈথাল, হরিয়ানা), আরমান (নুহ, হরিয়ানা), এক অজ্ঞাতপরিচয় সহযোগী, যার নাম তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখা হয়েছে।

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই ঘটনাকে জাতীয় নিরাপত্তায় বড় ধরনের হুমকি হিসেবে দেখছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা এবং Official Secrets Act এর আওতায় মামলা করা হয়েছে। তদন্তে ইঙ্গিত মিলেছে, এই চক্র বিদেশি রাষ্ট্রের নির্দেশে দীর্ঘদিন ধরে গুপ্তচরবৃত্তি করছিল।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও কেউ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাচার হওয়া তথ্যের ধরণ গুরুত্ব বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউটিউব বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে এভাবে গোপন তথ্য পাচার করা উদ্বেগজনক প্রবণতা এবং তা ভবিষ্যতের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবেই ধরা উচিত।

জ্যোতি মালহোত্রা অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও বিস্তৃত তথ্য মিলবে বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এখন পাচার হওয়া তথ্যগুলো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার হাতে পড়ার সম্ভাবনা তা কীভাবে ভারতের নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করতে পারেসে দিকেও নজর দিচ্ছে।


 

You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?

আমাদের অনুসরণ করুন

জনপ্রিয় বিভাগ

সাম্প্রতিক মন্তব্য