ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দেশটির বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টার ও কারাগারে আটক থাকা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে। আদালত জানতে চেয়েছে, কেন এই ব্যক্তিদের এখনো দেশে ফেরত পাঠানো হয়নি এবং কেন তারা অনির্দিষ্টকাল ধরে আটক রয়েছেন।
২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে দায়ের হওয়া একটি মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট এই প্রশ্ন তোলে। আদালত কেন্দ্রীয় সরকারকে ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিষয়টির বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছে।
পাশাপাশি, যেহেতু মামলাটি পশ্চিমবঙ্গে হয়েছিল, তাই রাজ্য সরকারের ভূমিকা সম্পর্কেও জানতে চেয়েছে আদালত। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানাতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের আরেকটি বেঞ্চ আসাম সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকা ৬৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে অবিলম্বে দেশে ফেরত পাঠাতে হবে।
২০০৯ সালে ভারত সরকারের একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, বিদেশি সন্দেহে আটক ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পারদিওয়ালা ও মহাদেবন জানিয়েছেন, ১২ বছরেও এই মামলায় উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি।
আদালত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে, বর্তমানে কতজন বাংলাদেশি নাগরিক এই ধরনের পরিস্থিতিতে আটক রয়েছেন।
এদিকে, আসামে বিদেশি ঘোষিত ব্যক্তি ও এনআরসি প্রক্রিয়া নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা কমল চক্রবর্তী ডয়চে ভেলেকে জানান, যাদের কাছে বাংলাদেশি নাগরিকত্বের সুনির্দিষ্ট নথি রয়েছে, তাদের ফেরত পাঠানো সহজ। কিন্তু বহু মানুষের কাছে এ ধরনের কোনো কাগজপত্র নেই, ফলে তাদের প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, অনেককে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল বিদেশি ঘোষণা করলেও, তাদের জন্ম ভারতে হয়েছে এবং পারিবারিক কাগজপত্র না থাকার কারণে তারা এখনো আটকে রয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকার কী ব্যাখ্যা দেয়, সেটি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান প্রয়োজন বলেও মত দিয়েছেন তিনি।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?