clock ,

পরিবর্তিত বিশ্বে বাংলা ও বাংলায় বিশ্ব

পরিবর্তিত বিশ্বে বাংলা ও বাংলায় বিশ্ব

বাংলা ভাষা, বাংলা সংস্কৃতি বাঙালি ঐতিহ্য বললে আমরা এতদিন বাংলাদেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গকে বুঝতাম। মোট ২৭ কোটি লোক (বাংলাদেশের ১৭ কোটি পশ্চিমবঙ্গের ১০ কোটি লোক) ভাষা, সংস্কৃতি ঐতিহ্যবলয়ের অংশ। বিগত বেশ কিছুদিন ধরে জনগোষ্ঠীর একটি অংশ বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গ ভূখণ্ডের বাইরে বসবাস জীবন যাপন করছে। প্রাক্কলন করা হয় যে জনগোষ্ঠী খুব একটা ছোট নয়, প্রায় এক কোটি মানুষ এর অংশ। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেইতৃতীয় বাংলারধারণা জন্মলাভ করেছে। তৃতীয় বাংলার জনমানুষেরা বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে আছে এবং তার বড় অংশই রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যে। সুতরাং বহির্বিশ্বে একটি বাংলা আছে।

আবার অন্যদিকে বাংলায়ও একটি বিশ্ব আছে। বৈশ্বায়ন তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লবের ফলে বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গের মানুষের নানা রকমের সংযোগ ক্রমে ক্রমে বিস্তার লাভ করছে। সংযোগের নানা রকম মাত্রিকতা আছে। একটি হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে মানুষে মানুষে সংযোগ স্থাপন, ফলে বিশ্বের নানা সংবাদ, বিদেশে যাপিত জীবনের গল্প বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গের ঘরে ঘরে পেঁৗছুছে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে ভ্রমণ। তাদের সন্তান-সন্ততিরা বাইরে থাকার ফলে বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গের মা-বাবারা বিদেশ ভ্রমণ করেন। যখন তারা স্বভূমে ফেরেন, তখন তারা এক খণ্ড বিদেশ তাদের সঙ্গে নিয়ে আসেন। তৃতীয়টি হচ্ছে বিভিন্ন পন্থায় বহির্বিশ্বের নানা দিক আমাদের যাপিত জীবনে প্রবেশ করেছে। বিশ্ব চলে এসেছে বাংলার দোরগোড়ায়।

বিশ্বের অঙ্গনে বাংলার প্রতিফলন ঘটে নানাভাবে। শুধু সংখ্যা বিবেচনায় নয়, বিশ্বের নানা দেশে বাঙালিদের অবস্থান এবং বসবাস সেই সব সংশ্লিষ্ট সমাজে একটি গতিময়তা এনে দিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন শহরে অঞ্চলে বাঙালি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে দেশজ জনমানুষের একটি মিথস্ক্রিয়ার ফলে বিশ্বে বাংলা একটি নতুন রূপ নিয়েছে।

খাওয়া-দাওয়া দিয়েই শুরু করা যাক। বাঙালি খাবার-দাবার যে বহির্বিশ্বে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, সেটা বাংলাকে পরিচিত করেছে বিশ্ববাসীর কাছে। বাঙালির সাজ-পোশাক সম্পর্কেও একই কথা। ছেলেদের পাঞ্জাবি থেকে মেয়েদের শাড়ি কিংবা সালোয়ার-কামিজ উঠে এসেছে বিদেশীদের অঙ্গে। বলা বাহুল্য, বাঙালিদের স্থাপিত দোকানপাট, রেস্তোরাঁ ব্যাপারে একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। সেই সঙ্গে আমাদের নানা উৎসব যেমন, ঈদ, দুর্গা পূজাও এক্ষেত্রে অবদান রেখেছে।

বাঙালির সঙ্গীতও আদৃত বিদেশীদের কাছে। আমাদের ধ্রুপদি সঙ্গীত থেকে শুরু করে লোকগীতি আমাদের দেশকে চিনিয়েছে বিশ্বের কাছে। পরিচিতির মাধ্যমে ওই সব দেশের দেশজ মানুষের আগ্রহ জন্মেছে বাংলার সঙ্গীতের প্রতি। তারা পরিচিত হয়েছেন আমাদের বাউল গানের সঙ্গে, দোতারার সঙ্গে, তবলার সঙ্গে। বাংলার সঙ্গীত, নৃত্যকলা বিশ্বের কাছে পরিচিত হয়েছে আমাদের নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। নববর্ষ উদযাপন, একুশে ফেব্রুয়ারি, বিজয় দিবস পালনের মাধ্যমে বাংলার গান আজ নানা দেশের লোকের কাছে পরিচিত। লন্ডনে যারা বৈশাখী উৎসব দেখেছেন, তারাই বক্তব্যটির প্রাসঙ্গিকতা অনুধাবন করতে পারে। সেই সঙ্গে লন্ডনে উদ্ভাবিত কিন্তু সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়াবিজয়ফুলকর্মসূচিও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে পরিচিত করেছে বিশ্বের নানা অঙ্গনে।

একুশে ফেব্রুয়ারির কথা যখন উঠল, তখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কথাও বলা দরকার। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাঙালি প্রাণ দিয়েছে তার ভাষার স্বাধিকার রক্ষার জন্যে। ভাষা আন্দোলনের সেই বোধ চেতনাকে মনে রেখে জন্ম লাভ করেছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। কানাডার দুজন বাঙালিআবদুস সালাম রফিকুল ইসলামের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ১৯৯৯ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি স্বীকৃতি লাভ করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা। বিশ্বের প্রতিটি ভাষাকে মর্যাদাদানের প্রয়াসে বাঙালির ২১ ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলন এক বিরাট ভূমিকা পালন করেছে।

তবে শিল্প-সাহিত্যের অঙ্গনে বেশকিছু বিষয় আছে, যা বাংলাকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করতে আরো ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারত। তার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে সাহিত্য। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেশকিছু শক্তিমান বাঙালি কবি-লেখক-প্রবন্ধকার-নাট্যকার রয়েছেন। তাদের সাহিত্যকর্ম অত্যন্ত উচ্চমানের। কিন্তু যেহেতু তারা মূলত বাংলায় লেখেন, তাদের কাজ নানা দেশের পাঠক সমাজের কাছে লভ্য হয় না। তেমনিভাবে বাংলাদেশে যেসব সাহিত্যচর্চা হয়, অনুবাদের অনুপস্থিতিতে তা বিশ্বের বৃহত্তর সাহিত্যমোদীদের কাছে পেঁৗছায় না। সাহিত্য একটি দেশ সমাজকে অন্যদের কাছে পেঁৗছার জন্য একটি শক্তিশালী পন্থা। কিন্তু অনুবাদের অনুপস্থিতিতে বিদেশে বাংলা সাহিত্যের পরিচিতি সীমাবদ্ধ।

ঠিক তেমনিভাবে, বিদেশে বাংলার চিত্রকলা, ছায়াছবি, শিল্পসামগ্রীর অনুপ্রবেশও সীমিত। চিত্রকলায় আমাদের যে দীর্ঘ সম্পদসম্পন্ন ঐতিহ্য রয়েছে, তার সঙ্গে বিদেশের পরিচিতি খুব কম। বাংলা চলচ্চিত্রও বিদেশের কাছে খুব একটা পৌঁছুতে পারেনি। সত্যজিৎ রায় ভিন্ন বাংলা চলচ্চিত্র সম্পর্কে বিদেশী দর্শকরা খুব একটা জানেন না। সেই সঙ্গে আমাদের নানা লোকজ শিল্প-মাটির পুতুল থেকে বাঁশের সামগ্রী আমরা পাশ্চাত্যের বাজারে বড় একটা পৌঁছে দিতে পারিনি।

বিদেশের দুটো ক্ষেত্রে বাংলার পরিচিতি খুব শক্তভিত্তিক। একটি হচ্ছে শিক্ষা ক্ষেত্রে। বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা বিরাট এক সুনামের সঙ্গে লেখাপড়া করছে। এদের সাফল্যই বাংলাকে বিদেশের শিক্ষাঙ্গনে পরিচিত করেছে। অন্য ক্ষেত্রটি হচ্ছে পেশাজীবী খাত। বাংলার মানবসম্পদ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বিদেশের বিভিন্ন খাতে কাজ করছে। এদের মেধা, মনন দক্ষতা স্বাভাবিকভাবেই বাংলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পরিচয় ঘটিয়েছি। দেশকে তো চেনায় দেশের মানুষ, কারণ চূড়ান্ত বিচারে, তারাই তো বিদেশে নিজ নিজ দেশের রাষ্ট্রদূত।

বিশ্বে বাংলা থেকে এবার বাংলায় বিশ্বতে আসি। অন্যান্য ভূখণ্ড জাতির সঙ্গে তুলনা করলে বিশ্বের সঙ্গে বাংলার সম্পৃক্ততা বহুকালের নয়-না ব্যাপ্তির দিক থেকে, না গভীরতার দিক থেকে। তবু কালে কালে বিশ্ব বাংলার উঠোনে এসে উপস্থিত হয়েছে বারবার। বৈশ্বায়ন তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লবের কল্যাণে সেই উপস্থিতি আরো সরব হয়েছে। আবারো খাওয়া-দাওয়া দিয়েই শুরু করি। এক সময়ে বাংলায় শুদ্ধ বাঙালি খাবারের বাইরে আর কিছুই ভাবা যেত না। তারপর চীনা খাবার এসে জুটল আমাদের ভোজন রসিকতায়। আর আজ? শুধু ঢাকা শহরের দিকেই যদি তাকাই তাহলে দেখব তাবৎ দেশের খাবারের রেস্তোরাঁর সরব উপস্থিতি শহরে। বিশ্বের নানা ব্যঞ্জন লভ্য বাঙালির কাছে। শুধু রেস্তোরাঁ নয়, ঘরের অভ্যন্তরেও গৃহিণীরা নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান অন্য দেশের রান্নাবান্না নিয়ে। দেশীর সঙ্গে বিদেশী রান্নার মিশ্রণে তৈরি হচ্ছে নতুন স্বাদের খাবার। বলতে দ্বিধা নেই যে এসব পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাঙালির রসনারও পরিবর্তন পরিবর্ধন হয়েছে।

পোশাক-আশাক জীবনধারণ পদ্ধতিতেও বহির্বিশ্ব আমাদের প্রভাবিত করছে। ভালো কি মন্দ, সে আলোচনা আপাতত তোলা থাক, কিন্তু বাঙালির পোশাকে যে পরিবর্তন এসেছে, তা লক্ষণীয়। মেয়েদের পোশাকে শাড়ির বদলে সালোয়ার-কামিজ থেকে শুরু করে, পাশ্চাত্যের পোশাক, মধ্যপ্রাচ্যের পোশাকের ছড়াছড়ি চারদিকে। ছেলেদের পোশাক সেই বহুদিন আগে বদলে যাওয়া কোট-প্যান্টের বাইরে খুব একটা এগোতে পারেনি। উন্নত বিশ্বের যাপিত জীবনের নানা উপকরণ পন্থাও বাংলা গ্রহণ করেছে। গ্রহণ করেছে নানা প্রযুক্তিগত সুবিধা। জীবনধারাকে আরামদায়ক করার জন্যে বিশ্ব তার সব সুব্যবস্থা নিয়ে হাজির হয়েছে আমাদের জীবনে। সেসব সুব্যবস্থা সম্পর্কে জ্ঞানবৃদ্ধি এবং সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উন্নত বিশ্ব জীবন ধারণের যেসব উন্নত উপকরণ দিতে পারে আমরা গ্রহণ করেছি। বিশ্ব উপস্থিত হয়েছে বাংলায়।

বাংলার সঙ্গীত চলচ্চিত্রের দিকে তাকালে বোঝা যায় এসব ব্যাপারে বৈশ্বিক প্রবণতা বাংলাকে কতটা প্রভাবিত করেছে। সঙ্গীতে বৈশ্বিক নানা ধারার মিশ্রণ চলছে, নানা রকমের বাদন যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে এবং বাংলার নানা প্রচলিত সঙ্গীতও নতুনভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে। সে সবের জন্যে শ্রোতার রুচিও নতুন করে তৈরি হচ্ছে। বাঙালির শ্রবণে আজ বিশ্বের সরব উপস্থিতি। বাংলার চলচ্চিত্র প্রভাবিত হচ্ছে বৈশ্বিক নানা ধ্যানধারণা প্রবণতা দ্বারা। সেখানে উন্নত বিশ্বের চলচ্চিত্রের শৈল্পিক কাঠামোর দিক আছে, পাশ্চাত্যের গল্পের প্রেক্ষিত আছে, চলচ্চিত্র তৈরির পন্থা আছে, অভিনয়ের ধারা আছে এবং অন্যান্য ব্যবহারিক প্রায়োগিক দিক আছে। বাংলা চলচ্চিত্রে আমরা বিশ্ব চলচ্চিত্রের নানা ছায়ার প্রতিফলন দেখতে পাই। তবে সেসবে প্রতিফলনে বিকৃতি যে নেই, এমনটা বলা যাবে না।

সাহিত্যের ক্ষেত্রে বাংলায় বিশ্বের প্রেক্ষিত দেখতে চাইলে কিছুটা হতাশ হতে হয়। প্রথমত বাংলায় যেসব সাহিত্য রচনা করা হয়, তার প্রেক্ষাপট বাংলা, বাংলার মানুষ, বাংলার জীবন। বাংলা সাহিত্যে বিশ্ব প্রেক্ষাপট খুব একটা উঠে আসেনি নানা কারণে। দ্বিতীয়ত বিশ্বের নানা ভাষায় যেসব সাহিত্যকর্ম আছে-তা সে ধ্রুপদ কিংবা জননন্দিত বইই হোক না কেন সেসবের খুব  অল্প অংশই বাংলা ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ফলে সাহিত্যের ক্ষেত্রে বিশ্ব ঠাঁই নিতে পারেনি বাংলায়। বাংলায় অনুবাদ হয়েছে ইংরেজি ভাষার সাহিত্য ভাষায়। অন্য যেসব প্রধান ভাষা যেমন ফরাসি বা স্প্যানিশে লেখা যেসব গদ্য, পদ্য কিংবা উপন্যাস বাংলায় অনুবাদ হয়েছে, তার সংখ্যা নিতান্তই মুষ্টিমেয়। ফলে বিশ্বসাহিত্যের বড় অংশই বাংলায় অনুপস্থিত।

মানবসম্পদের আঙ্গিকে বিশ্ব উপস্থিত বাংলায় দুদিক থেকে। প্রথমটা হচ্ছে বহু বিদেশী বাংলার এবং বাংলার জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের কাজের দ্বারা। যেমন ক্লিন্টন সিলি অনুবাদ করেছেন বুদ্ধদেব বসুররাতভর বৃষ্টিকিংবা লিখেছেন জীবননানন্দ দাশের ওপরে। কিংবা ডেভিড ম্যাকাচ্চিয়ন লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গের টেরাকোটা মন্দিরের ওপরে। দ্বিতীয়টা হচ্ছে পাশ্চাত্য থেকে বাংলায়বিপরীতমুখী মেধা পাচারহচ্ছে, যেখানে বিদেশে শিক্ষাপ্রাপ্ত এবং বিদেশে কর্মরত ছেলেমেয়েরা বিদেশ থেকে বাংলায় ফিরে আসছে এবং বিদেশের চিন্তাচেতনা, ভাবধারাকে বাংলায় ফিরিয়ে এনে বাংলাকে সমৃদ্ধ করছে। সুতরাং ক্ষেত্রে বাংলায় বিশ্ব একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

তবে বাংলায় বিশ্বের উপস্থিতি সম্পর্কে একটি কথা বলা প্রয়োজন। ঐতিহ্যগতভাবেই বাংলা বাঙালি বড়ই আত্মমগ্ন আত্মতুষ্টও বটে। সুতরাং নানা বিষয়ে একটি বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি নিতে আমাদের একধরনের একটি অনীহা নির্লিপ্ততা আছে। আমরা অনেক সময়ে বাংলাকেই বিশ্ব বলে মনে করি, ফলে একটি বিশ্ব বীণা আমাদের চিন্তাচেতনা, মন-মননে অনুপস্থিত থাকে।

শেষের কথা বলি। বিশ্ব অনবরত বদলাচ্ছে, বদলাচ্ছে বাংলাও। গতিময়তার প্রেক্ষিতে বিশ্ব এবং বাংলার মিথস্ক্রিয়াও পরিবর্তন হবে। তবে মনে রাখতে হবে, মিথস্ক্রিয়ার স্বরূপ বা প্রকৃতি যাই হোক না এর গতিময়তা এমন পথে চালিত করতে হবে, যাতে বিশ্ব এবং বাংলা পরস্পর পরস্পরকে শাণিত করবে, ঋদ্ধ করবে এবং যূথবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে যাবে।

 লেখক: সাবেক পরিচালক, মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন দপ্তর এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ বিভাগ, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র

You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?

আমাদের অনুসরণ করুন

জনপ্রিয় বিভাগ

সাম্প্রতিক মন্তব্য