clock ,

পদ্মা সেতু দিয়ে ঘরমুখো মানুষের ঢল, টোল প্লাজায় বাড়তি চাপ

পদ্মা সেতু দিয়ে ঘরমুখো মানুষের ঢল, টোল প্লাজায় বাড়তি চাপ

পবিত্র ঈদুল আজহার ঠিক একদিন আগে, পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে নাড়ির টানে দক্ষিণাঞ্চলের পথে ছুটছেন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ। পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ঘরমুখো মানুষের চাপ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত এই সেতুর টোল প্লাজায় দেখা গেছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি, তবে বড় ধরনের যানজটের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

বুধবার রাত থেকে ঢাকামুখী কর্মজীবীদের ছুটির যাত্রা শুরু হয়, যা বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক বেশি যানবাহন অপেক্ষা করতে দেখা যায়। গাড়ির সংখ্যা বাড়লেও সেতু পাড়ি দিতে ভোগান্তি হয়নি, শুধু টোল আদায়ে কিছুটা দেরি হয়েছে।

দূরপাল্লার বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি এবং মোটরসাইকেলের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। মোটরসাইকেল ছিল বিশেষভাবে চোখে পড়ার মতো। যানবাহনের চাপের কারণে মাঝে মাঝে টোল প্লাজা থেকে এক কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।

সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে বর্তমানে ৭টি বুথে টোল আদায় করা হচ্ছে। মোটরসাইকেলের চাপ সামলাতে স্থাপন করা হয়েছে আরও দুটি অস্থায়ী বুথ। এখন মোট তিনটি বুথে শুধু মোটরসাইকেলের টোল নেওয়া হচ্ছে।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ বলেন, “মঙ্গলবার সকাল থেকেই যান চলাচল বেড়েছে, বিশেষ করে মোটরসাইকেল বেশি। তাই বাড়তি বুথ স্থাপন করেছি।

নিরাপত্তার বিষয়ে পদ্মা সেতু উত্তর থানার ওসি জাকির হোসেন জানান, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত টহল টিম মোতায়েন রয়েছে। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতেও রয়েছে ট্রাফিক হাইওয়ে পুলিশের আলাদা টহল টিম।

এছাড়া হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে এবং স্পিড গান দিয়ে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী জানান, পদ্মা সেতু এলাকায় তাদের আটটি ইউনিট কাজ করছে এবং সতর্কতামূলক মাইকিং চালানো হচ্ছে। আনসার বাহিনীও সহায়তা করছে।

সরকারি তত্ত্বাবধানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত প্রচেষ্টায় পদ্মা সেতু দিয়ে এবারের ঈদযাত্রা এখন পর্যন্ত অপেক্ষাকৃত স্বস্তিদায়ক বলেই মনে করছেন যাত্রীরা।

 

You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?

আমাদের অনুসরণ করুন

জনপ্রিয় বিভাগ

সাম্প্রতিক মন্তব্য