জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, কিছু ইতিহাস আনন্দের, কিছু বিষাদের, আর কিছু গৌরবের। বিশেষ করে যারা দেশের জন্য জীবন দেন—১৯৪৭, ১৯৫২’র ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুলাইয়ে—তাদের ইতিহাস গৌরবের।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে জামায়াতে ইসলামীর আয়োজিত ‘জুলাই ২০২৪ বিপ্লবের শহীদ স্মারক’ মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীরও কিছু করণীয় আছে। ২০২৪ সালের আন্দোলনে আমরা শহীদ হয়েছি। এই আন্দোলনের মাধ্যমে পুরো জাতি যেমন মুক্তি পেয়েছে, তেমনি সবচেয়ে নির্যাতিত রাজনৈতিক দলও মুক্তি পেয়েছে। তাই নতুন প্রজন্মের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা শহীদ পরিবারগুলোর কাছে গিয়ে তাদের প্রতি সম্মান জানিয়েছি এবং দোয়া নিয়েছি। কারণ তারা সৌভাগ্যবান—তাদের পরিবার দেশের জন্য জীবন দিয়েছে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সেসময় গণমাধ্যমগুলোও ফ্যাসিবাদের থাবা থেকে মুক্ত ছিল না। অনেক সাংবাদিক জীবন দিয়েছেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যারা বিদেশে বসে বাকস্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন, তাদের পরিবার দেশে নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এমনকি নারীদেরও রেহাই দেওয়া হয়নি। যারা নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়ে আজকের এই পরিবেশ উপহার দিয়েছেন, তাদের প্রতি আমি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
তিনি আরও বলেন, দেশ সকলের হলেও এর পাহারাদারি করা সবার কাজ নয়। কিছু মানুষ এই দায়িত্ব নেয়, আবার কিছু মানুষ জনগণের শান্তি কেড়ে নেওয়ার কাজে লিপ্ত হয়। যারা অপকর্ম করে, তারা এটিকে পেশা মনে করে এবং একসময় নিজেদের রাজা ভাবতে শুরু করে। কিন্তু যখন ঝাঁকুনি দেওয়া হয়, তখন সেই স্বঘোষিত রাজারা ক্ষমতা থেকে ছিটকে পড়ে।
ফ্যাসিস্ট শাসকদের পরিণতি সম্পর্কে তিনি বলেন, অতীতে যারা স্বৈরাচারী শাসক ছিল, তাদের নাম ধর্মগ্রন্থেও এসেছে। সবাইকে একই পরিণতি ভোগ করতে হয়। দুর্ভাগ্যের বিষয়, ফ্যাসিস্টরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না। আমাদের দেশে ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে, অনেকেই নিজেদের স্বার্থে ইতিহাস রচনা করেছেন।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?