বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে বিগত সরকারের দমননীতির বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম চালিকাশক্তি ছিলেন নারীরা। তারা নানা হুমকি ও সহিংসতার মধ্যেও অসীম সাহসিকতা প্রদর্শন করেছেন। নিরাপত্তা বাহিনী ও পুরুষ আন্দোলনকারীদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে তারা প্রতিবাদ চালিয়ে গেছেন।
পুরুষ সহযোদ্ধাদের গ্রেপ্তারের পরও তারা নতুন কৌশল অবলম্বন করে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন ও যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। এমনকি ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও তারা সেন্সরশিপের বাধা অতিক্রম করতে সক্ষম হন। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও তাদের এই সাহসিকতা ও আত্মত্যাগ ছিল সত্যিকারের বীরত্বের প্রতীক।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর আরও জানায়, আগামী মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) স্টেট ডিপার্টমেন্টে আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ’ (IWOC) অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প এই পুরস্কার প্রদান করবেন। এটি IWOC অ্যাওয়ার্ডের ১৯তম বর্ষ।
২০২৫ সালের পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন—বুরকিনা ফাসোর হেনরিয়েট দা, ইসরায়েলের আমিত সুসানা, পাপুয়া নিউ গিনির মেজর ভেলেনা ইগা, ফিলিপাইনের অ্যাঞ্জেলিক সোনকো, রোমানিয়ার জর্জিয়ানা পাসকু, দক্ষিণ সুদানের জাবিব মুসা লোরো বাখিত, শ্রীলঙ্কার নামিনি উইজেদাসা এবং ইয়েমেনের আমাত আল-সালাম আল-হাজ।
এছাড়া, ‘ম্যাডেলিন অ্যালব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ড’ পাচ্ছেন বাংলাদেশের জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া সাহসী নারীরা।