clock ,

চেরনোবিলে রাশিয়ার ড্রোন হামলা, সুরক্ষা প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত

চেরনোবিলে রাশিয়ার ড্রোন হামলা, সুরক্ষা প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত

রাশিয়ার ড্রোন হামলায় চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেজস্ক্রিয়তা নিয়ন্ত্রণের সুরক্ষা প্রাচীরে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তিনি জানান, বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনার স্থানে রুশ ড্রোন হামলার ফলে আগুন ধরে যায়, যা পরবর্তীতে নিভিয়ে ফেলা হয়। বিবিসি- খবরে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের পারমাণবিক নজরদারি সংস্থা (আইএইএ) আশ্বস্ত করেছে যে চেরনোবিলের ভেতরে বাইরে বিকিরণ স্তর এখনো স্বাভাবিক রয়েছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রধান প্রকৌশলী ওলেক্সান্দ্র টিটারচুক সতর্ক করে বলেছেন, তেজস্ক্রিয় পদার্থের লিক হওয়ার সম্ভাবনা এখনো রয়ে গেছে। তবে ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থাকে তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

রাশিয়া হামলার দাবি অস্বীকার করে বলেছে, তাদের সামরিক বাহিনী কখনোই ইউক্রেনের পারমাণবিক অবকাঠামোতে হামলা চালায়নি এবং ধরনের অভিযোগ বাস্তবতাবিরুদ্ধ।

আইএইএ জানায়, বিস্ফোরণের পর দ্রুত অগ্নি নির্বাপক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সংস্থাটির মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি বলেন, "উচ্চ সতর্কাবস্থা বজায় রাখা হয়েছে, আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই।"

১৯৮৬ সালে চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণ ইউরোপজুড়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে জনস্বাস্থ্য সংকট তৈরি করেছিল।

তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে নির্মিত সুরক্ষা প্রাচীরটি ২৭৫ মিটার (৯০০ ফুট) প্রশস্ত ১০৮ মিটার (৩৫৪ ফুট) উঁচু, যার নির্মাণ ব্যয় ছিল . বিলিয়ন ডলার (. বিলিয়ন পাউন্ড)

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ আন্দ্রি ইয়েরমাক সুরক্ষা প্রাচীরের কিছু ছবি পোস্ট করেছেন, যেখানে উপরের দিকে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানা গেছে, চেরনোবিল নিষিদ্ধ অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রধান গ্রিগোরি ইশচেনকো জানিয়েছেন, আগুন আর মাত্র ১৫ মিটার (৫০ ফুট) পাশে লাগলেই তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।

 

You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?

আমাদের অনুসরণ করুন

জনপ্রিয় বিভাগ

সাম্প্রতিক মন্তব্য