২৬ মার্চ চীনে যাচ্ছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, এটি তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর। চারদিনের এই সফরের উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা। ২৮ মার্চ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে, যা নতুন আলোচনার সূচনা হতে পারে।
এই সফরের প্রেক্ষাপট একেবারেই আলাদা। কারণ, গত দুই বছরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ঋণ সহায়তার চুক্তি প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের প্রথম সাত মাসে বাংলাদেশ চীনের কাছ থেকে নতুন কোনো ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি পায়নি। তবে পূর্বের প্রতিশ্রুত ঋণের মধ্যে কিছু অর্থ ছাড় করা হয়েছে। বিশেষভাবে ২০২৪ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের পর চীনা সরকারের তরফে মোট ২০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তার কথা বলা হলেও, বাস্তবে তা এক বিলিয়ন ইউয়ানে পরিণত হয়েছিল।
এই অবস্থায়, ড. ইউনূসের আসন্ন সফর নিয়ে অনেকের মধ্যে আশাবাদ ও সংশয় দুটোই বিরাজ করছে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা না আসা পর্যন্ত চীন বড় ধরনের আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে দ্বিধা করতে পারে। চীন, সাধারণত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে নজর রেখে তার আর্থিক সহায়তা প্রদান করে, তাই এর আগে বাংলাদেশে কোন সরকারের ক্ষমতায় থাকা বা ক্ষমতার পরিবর্তন এই সাহায্যের পরিমাণকে প্রভাবিত করতে পারে।
বিভিন্ন কূটনীতিক ও বিশ্লেষকরা আশাবাদী যে, ড. ইউনূসের সফর নতুন অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু সুযোগ এনে দিতে পারে। চীন ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে সহায়তা দিচ্ছে, তবে নতুন বড় প্রকল্পে সহায়তার কথা এখনও অজ্ঞাত। আশা করা যাচ্ছে, এই সফরটি বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু আর্থিক সহায়তার পথ খুলে দিতে পারে, তবে তা নিয়ে সাবধানতা থাকতে পারে। সুতরাং, ড. ইউনূসের সফরের পর থেকে আর্থিক সহায়তা, বাণিজ্য এবং অন্যান্য সহযোগিতার বিষয়ে উন্নতি হওয়া সম্ভব বলে অনেকেই আশা করছেন।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?