clock ,

  ব্রেকিং নিউজ
clock
‘ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার’ চান ২৫ ক্যাডার কর্মকর্তারা

‘ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার’ চান ২৫ ক্যাডার কর্মকর্তারা

প্রশাসন ছাড়া সরকারি চাকরির বাকি ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরেক্যাডার যার, মন্ত্রণালয় তারদাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের অভিযোগ, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা নীতি নির্ধারণ থেকে পদোন্নতি, বিদেশ সফর, বিশেষ ক্ষমতাসহ অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসছেন। বৈষম্যের অবসান চেয়ে তারা গতকাল রাজধানীর খামারবাড়িতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তাদের মতামত তুলে ধরেন।

 “জনবান্ধব সিভিল সার্ভিস বিনির্মাণে করণীয়: প্রেক্ষিত বাংলাদেশশীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, সিভিল সার্ভিসে একটি নির্দিষ্ট ক্যাডার শাসকের ভূমিকা পালন করছে। গত ১৭ বছরে সমতা, মর্যাদা সম্মানের ক্ষেত্রে অন্যান্য ক্যাডারদের বঞ্চিত করে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। বৈষম্যের ফলে প্রশাসন ক্যাডারের অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ ঘটেছে।

সভায় ১৫টির বেশি ক্যাডারের ১৯ জন কর্মকর্তা বক্তব্য দেন। হাজারের মতো কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের আহ্বায়ক কৃষিবিদ মো. আরিফ হোসেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন পরিষদের সমন্বয়ক ফারহানা আক্তার।

প্রকৌশলী শাহে আরেফিন বলেন, “একটি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতির তোড়জোড় চলছে, অথচ আমাদের ক্ষেত্রে আদালতের রায় কার্যকর করা হচ্ছে না। ২০১৫ সালে হাইকোর্ট সড়ক জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর পদকে গ্রেড- এবং অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর পদকে গ্রেড--তে উন্নীত করার আদেশ দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

বিসিএস সমবায় অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করেন, “আমার মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত প্রশিক্ষণ প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিয়ে যান। প্রশিক্ষণ শেষে তারা অন্য মন্ত্রণালয়ে চলে যান, যা বড় ধরনের বৈষম্য।

বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষা ক্যাডার সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার। মেধাবীরা এখনো শিক্ষা ক্যাডারে যোগদান করলেও তারা সীমাহীন বঞ্চনার মধ্য দিয়ে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। শিক্ষা স্বাস্থ্যকে ক্যাডারবহির্ভূত করার প্রস্তাব অদূরদর্শী।

বিসিএস পরিবার পরিকল্পনা অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কাশেম বলেন, “সিভিল সার্ভিসে একটি নির্দিষ্ট ক্যাডার শাসকের ভূমিকায় রয়েছে। ২৫ ক্যাডারকে বঞ্চিত করে তারা বৈষম্য তৈরি করেছে। বিপ্লবের পর প্রশাসকের দায়িত্ব এবং সংস্কারের দায়িত্ব সেই একই ক্যাডারকে দেয়া হয়েছে। যারা বৈষম্য সৃষ্টি করেছে, তাদের দিয়েই সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে, যা অযৌক্তিক।

বক্তারা দাবি করেন, সিভিল সার্ভিসে সমতা, মর্যাদা এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতে সংস্কার আনা জরুরি। তারা আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূর করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

 

You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?

আমাদের অনুসরণ করুন

জনপ্রিয় বিভাগ

সাম্প্রতিক মন্তব্য