পর্ন
তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায়
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাজা প্রায় নিশ্চিত
বলে জানিয়েছেন নিউইয়র্কের ম্যানহাটান আদালতের বিচারক হুয়ান মারচ্যান। আগামী ১০ জানুয়ারি এ
মামলায় দণ্ডাদেশ ঘোষণা করা হবে। তবে
ট্রাম্পকে কারাদণ্ড দেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে ইঙ্গিত
দিয়েছেন বিচারক।
বিচারক মারচ্যান জানান, ট্রাম্পকে শর্তহীন মুক্তির দণ্ডাদেশ দেওয়া হতে পারে, যার
অর্থ কোনো কারাদণ্ড, আর্থিক
জরিমানা বা প্রবেশনের প্রয়োজন
হবে না। তিনি বলেন,
“এটাই সবচেয়ে কার্যকর সমাধান।”
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৬ সালে স্টর্মি
ড্যানিয়েলসের সঙ্গে সম্পর্কের ঘটনা ধামাচাপা দিতে
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তাকে ১
লাখ ৩০ হাজার ডলার
ঘুষ দেওয়া হয়। ট্রাম্প নির্বাচনী
কমিশনের কাছে এ বিষয়টি
গোপন রাখেন।
২০২৪
সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এই মামলায়
বিচার শুরু হয়। এরপর
থেকে প্রায় প্রতি সপ্তাহে এ মামলার শুনানি
হয়েছে। ট্রাম্পের আইনজীবীরা মামলাটি খারিজ করার দাবি জানালেও
বিচারক এ দাবি প্রত্যাখ্যান
করেন।
বিচার চলাকালীন ট্রাম্প বেশ কয়েকবার সাক্ষীদের
সমালোচনা করার নিষেধাজ্ঞা অমান্য
করেছেন। এ জন্য তাকে
নয়বার ৯ হাজার ডলার
জরিমানা করা হয়। বিচারক
মারচ্যান সতর্ক করেন যে, নিষেধাজ্ঞা
অমান্য অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর শাস্তির
মুখোমুখি হতে পারেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং এই মামলাকে
“অযৌক্তিক ও বেআইনি” আখ্যা
দিয়ে অবিলম্বে খারিজ করার দাবি করেছেন।
আগামী ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার কথা। তার মাত্র ১০ দিন আগে আদালতে হাজিরা দিতে হবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ মামলাটি শুধু তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নয়, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থার ওপরও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?