স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে প্রবাসী গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর মাইজদীতে এক স্কুলছাত্রী (১৫) অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় মাসুদ আলম (২২) নামে এক সৌদিপ্রবাসী যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১ মার্চ) বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এর আগে, শনিবার ভোরে অচেতন অবস্থায় শহরের হাউজিং এলাকা থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে সে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত মাসুদ আলম বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। প্রবাসে থাকা অবস্থায় তিনি ভুক্তভোগীকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হয়রানি করতেন। এর আগেও স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে তাকে উত্ত্যক্ত করতেন তিনি। ভুক্তভোগীর পরিবার বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানালে মাসুদ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে আপত্তিকর ছবি তৈরি করে ব্ল্যাকমেইল করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ১২ ফেব্রুয়ারি মাসুদ বিদেশ থেকে দেশে ফেরেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে ভুক্তভোগী স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হলে সে আর ফিরে আসেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পুলিশের প্রযুক্তিগত তদন্তে ভুক্তভোগীর সর্বশেষ অবস্থান চট্টগ্রামে শনাক্ত করা হয়।

পরিবারের বরাতে জানা যায়, ২৬ ফেব্রুয়ারি মাসুদ ও তার সহযোগীরা ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নিয়ে চট্টগ্রামের একটি বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ভয়ভীতি দেখিয়ে কোর্ট এফিডেভিটের মাধ্যমে তাকে বিয়ের প্রমাণ তৈরি করে এবং পরে ধর্ষণ করে। শনিবার ভোরে মাইজদীর সিনেমা হলের সামনে অচেতন অবস্থায় তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। পরিবারের সদস্যরা জানান, ভুক্তভোগীর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সুধারাম মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে রাজগঞ্জ এলাকা থেকে অভিযুক্ত মাসুদকে আটক করে। ভুক্তভোগীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করছে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে।