পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে শেষ হলো ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল জানান, এবারের আয়োজনে ৭৫টি দেশের ২০৩টি চলচ্চিত্র ১০টি ভিন্ন ভিন্ন বিভাগে প্রদর্শিত হয়েছে।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সমাপনী অনুষ্ঠানের সূচনা হয় 'জলতরঙ্গ' ড্যান্স গ্রুপের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। এরপর বিভিন্ন বিভাগের জুরি সদস্যরা একে একে পুরস্কার ঘোষণা করেন। সমাপনী চলচ্চিত্র হিসেবে প্রদর্শিত হয় ইকবাল এইচ চৌধুরী পরিচালিত 'বলী'।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা:
শ্রেষ্ঠ শিশু চলচ্চিত্র: মাইকেল লুকাচেভস্কি পরিচালিত রাশিয়ার সিনেমা ‘কিতালিকতাখ কিরদালিম’ (হোয়্যার দ্য হোয়াইট ক্র্যান্স ড্যান্স), যা জিতেছে ‘বাদল রহমান পুরস্কার’।
বিশেষ অডিয়েন্স পুরস্কার: ফিলিপাইনের ‘গুয়ার্দিয়া দ্য অনর’ (দ্য গার্ডিয়ান অব অনর), পরিচালনায় জোসেলিত অলতারেজোস।
সেরা অডিয়েন্স পুরস্কার: সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত ভারতের ‘পদাতিক’।
উইমেন ফিল্মমেকারস সেকশন বিশেষ পুরস্কার: ক্লাভদিয়া কোরশুনোভা পরিচালিত ‘তাকোই ইমেনো ডেন’ (নট জাস্ট অ্যানি ডে), মলডোভা ও রাশিয়ার যৌথ প্রযোজনা।
সেরা শর্ট ফিল্ম: মারিয়া বোবেভা পরিচালিত বুলগেরিয়ার ‘স্কারলেট’।
সেরা ফিচার ফিল্ম: ফ্রান্সের ‘কুমভা’ (হুইচ কাম ফ্রম সাইলেন্স), পরিচালনায় সারাহ মালেগোল।
সেরা পরিচালক: আগুস্টিনা সানচেজ গ্যাভিয়ের, আর্জেন্টিনা ও জার্মানির যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ‘নুয়েস্ত্রা সোমব্রা’ (আওয়ার ওউন শেডো)।
স্পিরিচুয়াল ফিল্ম সেকশন: সেরা শর্ট ফিল্ম - লুইস ক্যাম্পোস পরিচালিত পর্তুগালের ‘মন্টে ক্লেরিগো’, সেরা ফিচার ফিল্ম - রাশিয়ার ‘প্রিশেলেক’ (দ্য এলিয়েন), পরিচালনায় ইভান সোসনিন।
বাংলাদেশ প্যানোরামা বিভাগ:
সেরা চলচ্চিত্র (ফিপরেস্কি জুরি): মনন মুনতাকা পরিচালিত ‘আ লেজি মুন’।
ফার্স্ট রানারআপ: আসিফ ইউ হামিদ পরিচালিত ‘ফুলেরা পোশাক পরে না’ (ডিফাই)।
সেকেন্ড রানারআপ: মোবারক হোসেন পরিচালিত ‘পৈতৃক ভিটা’ (হেরেডিটারি হোমস্টেড)।
পূর্ণদৈর্ঘ্য বিভাগ সেরা চলচ্চিত্র: শঙ্ক দাশ গুপ্ত পরিচালিত ‘প্রিয় মালতী’, অভিনয়ে মেহজাবীন চৌধুরী।
আন্তর্জাতিক বিভাগ:
সেরা চিত্রনাট্য: জাপানের ‘পারফর্মিং কাওরু’স ফিউনারেল’, পরিচালনায় তাকাতো নিশি ও নোরিকো ইউওসা।
সেরা চিত্রগ্রাহক: দিলসাত কানন, তুরস্কের ‘ডেমো কে পেলে গোজান বেনি জের’ (হোয়্যান দ্য ওয়ালনাট লিভস টার্ন ইয়েলো)।
সেরা অভিনেত্রী: ডিমেন জান্ডি, ইরান ও তাজিকিস্তানের যৌথ প্রযোজনার ‘মেলডি’।
সেরা অভিনেতা: রায়ান সারলক, ইরানের ‘তাবেস্তান-ই হামান সাল’ (সামার টাইম)।
সেরা চলচ্চিত্র: উজবেকিস্তানের ‘ইয়াকশানবা’ (সানডে), পরিচালনায় শোকির খলিকভ।
উৎসবের বিশেষ আয়োজনগুলোর মধ্যে ছিল চীন ও বাংলাদেশের ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্ক উদযাপন, যেখানে চীনা চলচ্চিত্রের জন্য ওয়াইড অ্যাঙ্গেল সেকশন উৎসর্গ করা হয়। আয়োজনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ‘সিনেমায় নারী’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সম্মেলন, মাস্টারক্লাস এবং রাশিয়ান পরিচালক আলেক্সেই ফেদোরচেনকোর ‘রেট্রোস্পেকটিভ’।
‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ স্লোগানে ১১ জানুয়ারি থেকে ৯ দিনব্যাপী উৎসবটি ঢাকার পাঁচটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়। ৪৪ জন বিদেশি প্রতিনিধি সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। এই সমৃদ্ধ আয়োজন দেশের চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য একটি স্মরণীয় উৎসব হয়ে থাকবে।
Top of Form
Bottom of Form
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?