আমাদের বাড়ির পাশের ছোট এই নদীর পারে দাঁড়িয়ে ভাবি,বর্ডার, ভিসা,পাসপোর্ট এসবের ঝক্কি না থাকলে দৌড়ে গিয়ে পিতৃভূমি ভারতের মুর্শিদাবাদে গিয়ে দাদুর বাড়ির ভিটেমাটি ছুঁয়ে আসতাম.....
আমি হানিফুজ্জামান সাগর বর্তমানে সিঙ্গাপুর প্রবাসী।আমার দাদুদের বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের দুর্লুকপুরে।
মুর্শিদাবাদ থেকে দাদুরা বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলা আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন ধর্মদহ গ্রামে চলে আসে।আমাদের বাড়ির পাশেই ভারত।১৯৬৫ সালে দাঙ্গায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে এপার বাংলায় চলে আসেন আমার দাদুর বাবা।ওনার নাম ছিল ইব্রাহিম হাজী এবং ইব্রাহিম হাজীর বাবার নাম ছিল বাঁশি মন্ডল।আমার দাদারা ছিলেন চার ভাই আমার বড় দাদুর নাম ইবাদত ,আমার মেজো দাদু বন্দে আমার দাদু মহির উদ্দিন এবং আমার ছোট দাদু রমজান।
আমার দাদু ২০১৬ সালে মারা যায়,মৃত্যুকালীন সময় আমার দাদুর বয়স হয়েছিল ১১৭ বছর।আমার দাদুর মুখে প্রায় প্রতিটা দিন দেশের বাড়ি পশ্চিম বঙ্গের গল্প কথা শুনতাম।
আমার দাদু যখন মারা যায় তখন আমি ক্লাস সিক্সে পড়ি দাদুর মুখে শোনা গল্প গুলো খুব একটা মনে নেই তবে কিশোর বয়স থেকে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম একদিন না একদিন ভারতে গিয়ে সাতপুরুষের জন্মভিটা খুঁজে বেড় করবই।
আমার দাদুর বাড়িটা কোন এক হিন্দু ভদ্রলোকের ছিলো আমরা ভারতের বাড়িটি ওনাকে দিয়ে আমরা বিনিময় করে কুষ্টিয়ায় চলে আসি।
আমার দাদুর বাবা ইব্রাহিম হাজিকে সেই দুর্লুকপুর গ্রামের সবাই নাকি চিনতো।
ভারতের বন্ধুদের নিকট বিনীত অনুরোধ আপনারা যদি আমার দাদুর পশ্চিম বঙ্গের মুর্শিদাবাদের দুর্লুক পুরের জন্মভিটা খুঁজতে সাহায্য করেন তাহলে সেখানে গিয়ে আমার দাদার স্মৃতিগুলো দেখে আসতাম।আমি যতটুকু আইডেন্টিফাই করতে পারছি এটা পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর মুর্শিদাবাদের দুর্লুকপুর বা দু্ল্লুকপুর নামক কোন একটি গ্রাম হবে।
আর আমাদের বর্তমান ঠিকানা বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলা আদাবারিয়া ইউনিয়নের ধর্মদহ গ্রাম যেটা ভারতের শিকারপুর নামক গ্রামের পাশে।
সিঙ্গাপুর প্রবাসী
You Must be Registered Or Logged in To Comment লগ ইন করুন?