সদ্য শেষ হওয়া ২০২৪ এ বছরজুড়ে ঘটে যাওয়া
ঘটনাগুলোর রেশ নিয়েই নতুন বছরে পা দিয়েছে বাংলাদেশ। বিগত বছরে যেমন নানামুখী
চ্যালেঞ্জ আর অভূতপূর্ব ঘটনাবলীর মধ্য দিয়ে গেছে বাংলাদেশ - নতুন বছরেও রাজনীতি,
নির্বাচন আর অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ থাকবে।
চলতি
বছরেই ঘোষণা হতে পারে পরবর্তী নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়, যা সরাসরি প্রভাব রাখবে
রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনীতি আর কূটনৈতিক সম্পর্কে। তবে বাংলাদেশের জন্য ২০২৫
সালে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং ফ্যাক্টর হতে পারে অর্থনীতি, যা আগের বছরও প্রকট ছিল।
অন্তর্বর্তী
সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর আগের সরকারের আমলে আর্থিক খাতে যে পরিমাণ দুর্নীতি
উন্মোচিত হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে নতুন করে দেশের অর্থনীতিকে গঠন প্রক্রিয়া বেশ কঠিন
ও সময়সাপেক্ষ হবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
ইতোমধ্যেই
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার সাড়ে চার শতাংশ হবে বলে
পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল - আইএমএফ। আর সার্বিক মূল্যস্ফীতি হবে
নয় দশমিক সাত শতাংশ।
অর্থনীতিবিদরা
বলছেন, অনবরত বাড়তে থাকা মূল্যস্ফীতি এবং ডলারের সঙ্গে টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল
রাখতে না পারায় ২০২৫ সালের জন্য ভালো ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না।
অর্থনীতিবিদ
অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ বলেন, "মূল্যস্ফীতি অব্যাহত আছে, আর একে কিছুতেই বাগে
আনা যাচ্ছে না। এটা একটা বড় সমস্যা। আর ডলারের সঙ্গে আমাদের টাকার যে বিনিময় হার -
সেটা ক্রমাগত উপরের দিকে যাচ্ছে এবং সেটাকে একটা জায়গায় স্থিতিশীল করা যাচ্ছে
না"।রিজার্ভ সংকট নিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন,
"আমাদের একটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভঙ্গুর রিজার্ভের অবস্থা, এটাকে কীভাবে
পরিবর্তন করা যায়। সেটা যদি না করা যায় তাহলে এক্সচেঞ্জ রেটের ইনস্ট্যাবিলিটি সেটা
অব্যাহত থাকবে, সেটা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। সেক্ষেত্রে রিজার্ভ বাড়াতে হলে
রেমিট্যান্সের দিকে নজর দিতে হবে।
এছাড়াও ব্যাংক খাতে অস্থিরতার প্রভাব
থাকবে সামনে বছরও। বিশেষ করে টাকা ছাপিয়ে ব্যাংকগুলোকে উদ্ধার করার পদক্ষেপের
নেতিবাচক ফলাফলও দেখা যাবে আর্থিক খাতে। তার ওপর রাজনৈতিক দোলাচলের প্রভাবও থাকবে
বিনিয়োগে।অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ বলেন,
"আমাদের একটা বড় সমস্যা হচ্ছে আমাদের বিনিয়োগ বাড়ছে না। এটা জিডিপির ২২-২৩-২৪
শতাংশের মধ্যে স্থির হয়ে আছে। এটাকে যদি ৪০ শতাংশে না নেয়া যায়, তাহলে কিন্তু আমরা
সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধির হার আশা করতে পারি না।"