আন্দোলন সফলতার চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। অচিরেই সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে বলে জানিয়েছেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার (২০ নভেম্বর) কারওয়ান বাজার ও দয়াগঞ্জ মোড়ে পিকেটিং ও বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সকাল সাড়ে ছয়টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে সোনারগাঁও মোড় ও সকাল সাড়ে সাতটায় দয়াগঞ্জ মোড়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে বিক্ষোভ ও পিকেটিং করেন রুহুল কবির রিজভী। এ সময় যুবদল ও ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে চারদিক থেকে অন্ধকার ধেয়ে আসছে। অবৈধ সরকারের মসনদ আর ধরে রাখতে পারবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বাংলাদেশে আর কোনও নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না। অচিরেই সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে।
এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় ভার্চুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হঠাৎ বিদেশ থেকে এসে গতকাল সাভারে জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে তার দাম্ভিকতাপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে। যা শুনে দেশের মানুষ স্তম্ভিত-হতবাক হয়েছে। একইসঙ্গে জনগণ অট্টহাসিও দিয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘আগামী ১০ থেকে ১৫ বছর পর বিএনপি বলে কোনও দল বাংলাদেশে আর থাকবে না।’ তার মানে এই সময়ে তারা বিএনপিকে ধ্বংস ও নিঃশেষ করে দেবেন! দেশে শুধুমাত্র একটাই রাজনৈতিক দল থাকবে। যেখানে ভিন্ন মতাদর্শের কেউ থাকতে পারবে না, কেউ স্বৈরাচারী সরকারের সমালোচনা করতে পারবে না। অর্থাৎ বাকশাল-২ স্থাপিত হবে।
রিজভী বলেন, এই উপদেষ্টা সাহেবের মা ও তার অনুগতরা দশকের পর দশক ধরে বিএনপিকে ধ্বংসের জন্য উঠে-পড়ে লেগে আছেন। ওয়ান ইলেভেনের বেআইনি সরকারও সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। বরং বিএনপি এখন বাংলাদেশের ঘরে ঘরে তৃণমূল শক্তি। যতবার আঘাত এসেছে ততবার আরো শক্তিশালী হয়েছে। বিএনপি প্রতিবারই চক্রান্তের চোরাবালি থেকে জেগে ওঠে চতুর্দিকে আবার বিস্তার লাভ করেছে। বিএনপির রাজনীতি এই দেশের মাটি ও মানুষের বুকের ভেতরে প্রোথিত।