বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের ভারতের নয়া দিল্লি যাবার তথ্যটি সঠিক নয়, তিনি ঢাকাতেই আছেন। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বাংলাদেশে অবস্থিত দেশটির দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন এফ ইবেলি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্টিফেন ইবেলি বলেন, রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের ভারতে ‘টু প্লাস টু’ বৈঠকে যোগ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।
সম্প্রতি ভারতের নয়াদিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে মন্ত্রী পর্যায়ের ‘টু প্লাস টু’ বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে পিটার হাসও যোগ দেবেন বলে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। ব্লিঙ্কেনের আসার আগেই সেখানে পিটার হাস পৌঁছেছেন বলেও প্রচার করে গণমাধ্যমগুলো।
এদিকে শুক্রবার নয়াদিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের পররাষ্ট্র-প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের ‘টু প্লাস টু’ যে সংলাপ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে এই বৈঠকটি করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা। তিনি জানান, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের কিছু বিষয় নিয়ে স্পষ্ট আলোচনা হয়েছে। উভয়পক্ষই বাংলাদেশের বিষয়ে স্পষ্টভাবে তাদের নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়া এবং বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল নিয়েও কথা হয়েছে।
বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিনয় কোয়াত্রা বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া ও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের বিষয়ে আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছি।
বাংলাদেশের উন্নয়ন কেমন হবে, নির্বাচন কেমন হবে, তা সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের জনগণই তা ঠিক করবে। তারাই তাদের দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।’