আড়াইহাজারে আ’লীগ, বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষে আহত ২৩

বিএনপি সমমনা দলগুলোর ডাকা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি পালনকালে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগ-বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে তিন পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৩ জন।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে উপজেলার পাঁচরুখী এলাকায় সংঘর্ষ হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে টিয়ারশেল ও রবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে তিন অবরোধকারীকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাঁচরুখী এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল করে। এ সময় বিএনপির সন্ত্রাস নৈরাজ্যের প্রতিবাদে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মিছিল বের করলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, শুরু হয় ত্রিমুখী সংঘর্ষ। এসময় একটি বিআরটিসি বাসসহ দুটি বাস ভাঙচুর করে অবরোধকারীরা।

সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এছাড়া সংঘর্ষের সময় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরে টিয়ারশেল ও রবার বুলেট ছুড়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত পুলিশ সদস্যদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, ‘পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলায় আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। তবুও আমরা ৭২ ঘণ্টা রাজপথে থেকে অবরোধ সফল করবো।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আমীর খসরু বলেন, ‘তারা মহাসড়ক অবরোধ করে তাণ্ডব চালিয়েছে। গাড়ি ভাঙচুরসহ তিন পুলিশ সদস্যকে আহত করেছে। এর মধ্যে দুই পুলিশ সদস্যকে তারা কুপিয়েছে এবং একজন ঢিলের আঘাতে আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত তিনজনকে আটক করা রয়েছে। যাচাই-বাছাই করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা বলেন, ‘সকালে পাঁচরুখী এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অবরোধকারীরা বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী বাস ভাঙচুর করেছে। এখন পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে।’