যারা গণতন্ত্রের ছবক দেয়, ফিলিস্তিন ইস্যুতে তারা চুপ কেন: তথ্যমন্ত্রী

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইসরায়েল সফর প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেছেন, পৃথিবীর একটি শক্তিধর রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান (বাইডেন) সেখানে (ইসরায়েল) গেলেন। সেখানে গিয়ে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর (বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু) সঙ্গে কোলাকুলি করলেন। সেই রাষ্ট্রপ্রধান হামাসের নিন্দা করলেন, কিন্তু গাজায় হাসপাতালে হামলা ও নারী-শিশু হত্যার নিন্দা তিনি করলেন না।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) রাতে সংসদ অধিবেশনে ১৪৭ বিধিতে সাধারণ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েল ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে। সেই হামলায় এখন পর্যন্ত আট হাজারের বেশি মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। প্রতিমুহূর্তে মানুষ মারা যাচ্ছে। নিহতদের মধ্যে তিন হাজারের বেশি শিশু এবং দুই হাজারের বেশি নারী রয়েছেন।

তিনি বলেন, গাজায় হাসপাতালে হামলার পর ইউরোপের বিভিন্ন দেশ যেমন ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনের পক্ষে মিছিল করা নিষিদ্ধ করেছে। তারা বারবার মুক্ত গণমাধ্যম, মুক্তমত এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলে। সেখানে ফ্রান্সের আইনমন্ত্রী এক ধাপ বাড়িয়ে বলেছেন যে, ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কথা বললে সেটি আইনগত অপরাধ বলে গণ্য করা হতে পারে। অথচ তারাই মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলে। মাঝে মাঝে আমাদের মতো দেশগুলোকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে তারা প্রেসক্রিপশন দেয়।

যারা কথায় কথায় গণতন্ত্রের ছবক দেয় এবং মানবাধিকারের কথা বলে- ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় তারা এখন নিশ্চুপ কেন, এমন প্রশ্ন তুলেছেন তথ্যমন্ত্রী।

বিএনপি-জামায়াতের প্রতি ইঙ্গিত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা নির্বাচন এলে ইসলামের কথা বলে, আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই বলে স্লোগান দেয়, তারা তো আজ পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পক্ষে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। তারা আসলে ভোট এলেই কড়া মুসলমান সাজে। আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে ইসলাম চলে যাবে বলে ধোয়া তোলে।