পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পুড়ছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আগুন নিয়ন্ত্রণে তাদের ১৭টি ইউনিট কাজ করছে। আগুনের তীব্রতা কিছুটা কমলেও এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টার দিকে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়।
জানা যায়, মার্কেটটিতে পাঁচশ’র বেশি দোকান ছিল। এসব দোকানে কাজ করে ২ হাজারের বেশি মানুষ জীবিকা নির্বাহ করতেন। এ মার্কেটে সবজি দোকানের পাশাপাশি জুতার দোকান, স্বর্ণের দোকানসহ অনেক ধরনের দোকান রয়েছে। এখন পর্যন্ত জানা যাচ্ছে- মার্কেটের ডান পাশের অংশ থেকে আগুনের সূত্রপাত। পরে পুরো মার্কেটে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এখন এ মার্কেটের বেশিরভাগ অংশ ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। পুড়ে ছাই হয়েছে শত শত দোকান।
এছাড়া আগুনে ১৮টি স্বর্ণের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এর মধ্যে মার্কেটের সামনের অংশে থাকা ৯টি ও ভেতরে ৯টি দোকান রয়েছে। আগুনে পুড়ে গেছে আলিফ জুয়েলার্স, হেনা জুয়েলার্স, দুবাই জুয়েলার্স, সিঙ্গাপুর জুয়েলার্স, মুন জুয়েলার্স, রিয়াদ জুয়েলার্স ও মা জুয়েলার্স।
এ বিষয়ে দুবাই জুয়েলার্সের মালিক আমির হোসেন জানান, আমার দুটি জুয়েলার্সের দোকান ছিল। ভোর ৪টায় খবর পেয়ে মার্কেটে আসি। তখনও আমার দোকানে আগুন লাগেনি। মার্কেট বন্ধ থাকায় মালামাল সব সরাতে পারিনি। সামান্য কিছু সরিয়েছে। মার্কেটের মোট ১৮টি স্বর্ণের দোকান ছিল। সবগুলো পুড়ে গেছে। আমার দুটি দোকানে দুই কোটি টাকার জুয়েলার্সের মালামাল ছিল।
ব্যবসায়ীরা জানায়, পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোতে কোটি কোটি টাকার মালামাল ছিল। এখন কীভাবে আমরা সংসার চালাব। আমাদের সব শেষ হয়ে গেল। এর ফলে আমরা নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২০০ থেকে ২৫০ কোটি টাকা হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। প্রাথমিকভাবে শর্ট-সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। রাতে আগুন লাগার পর প্রথমে ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে একে একে ১৭টা ইউনিট কাজ শুরু করে।
রাতে আগুন লাগার পর থেকে ঘটনাস্থলে ভিড় করেন উৎসুক জনতা। উৎসুক জনতার কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজ করতে অসুবিধায় পড়তে হয়।এছাড়া আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের পানির সঙ্কটের মুখে পড়তে হয়।