প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বিশ্বের বর্ধনশীল পাঁচটি অর্থনীতির একটি। জিডিপিতে আমরা বিশ্বের ৩৫তম এবং ২০৩৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ২০তম জিডিপির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হবে।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রিন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের পাঁচ বছর এবং সামরিক সরকারের পরবর্তী বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণ মন্দার কবলে পড়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ‘৯৬ সালে সরকার গঠন করে। সুচিন্তিত এবং পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকি। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর সব উন্নয়নের কাজ থমকে যায়।
সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৯ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর আমরা দেশকে সুপরিকল্পিতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাই। আমরা স্বল্প, মধ্যম এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে দেশ গঠনের কাজে মনোনিবেশ করি। গণতান্ত্রিক পরিবেশ, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সরকারের ধারাবাহিকতা এবং পরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মসূচি দ্রুত বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে শক্তিশালী অর্থনীতি এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার৷ বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য সব খাত উন্মুক্ত; বিনিয়োগের প্রক্রিয়া সহজতর করা হয়েছে, যাতে বিদেশিরা এখানে বিনিয়োগ করে লভ্যাংশ তাদের দেশে নিয়ে যেতে পারে৷ হাইটেকপার্কগুলোতেও বিদেশি বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে৷ যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়নের ফলে পরিবহন সুবিধায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে ৷ তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিদ্যুৎ থেকে আবাসন; সবক্ষেত্রেই মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে৷ আমদানি-রপ্তানি গতিশীল করতে বন্দরগুলোও উন্নয়ন করা হচ্ছে৷
ভৌগলিক দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান তিনশ কোটি মানুষের বাজারের কেন্দ্রস্থল এ কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা ২০৩০ সালে জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের বাজারকে পেছনে ফেলে তৃতীয় বড় বাজার হবে বাংলাদেশ বলেও জানান৷