ভারতের লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে একাট্টা ভারতের ২৬টি বিরোধী রাজনৈতিক দল নিয়ে গঠিত ইন্ডিয়া জোট। আগামী ৩১ আগস্ট বৈঠকে বসবে দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এই জোট। এই বৈঠকে বড় কোনও সিদ্ধান্ত আসবে কিনা, তার অপেক্ষায় ভারতের রাজনৈতিক মহল। তবে ক্ষমতাসীন বিজেপির মহাজোটও (এনডিএ) আত্মবিশ্বাসী। বিভিন্ন জরিপের ইতিবাচক ফলে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে গেরুয়া শিবির। খবর-ইন্ডিয়া টুডে’র।
দেশটিতে হওয়া কয়েকটি জরিপের ফল বিশ্লেষণ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, নির্বাচনী বছরের শুরুতে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ৭২ শতাংশ মানুষ মোদির পক্ষে ছিলেন। তবে চলতি আগস্ট মাসের আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। নয় শতাংশ কমে বর্তমানে ৬৩ শতাংশে নেমেছে মোদির জনপ্রিয়তা।
ইন্ডিয়া টুডে ও জরিপ সংস্থা সি-ভোটারের এক জরিপে মোদির জনপ্রিয়তা আরও কমেছে বলে জানানো হয়েছে। যদিও দেশটির ৫২ শতাংশ মানুষ মোদিকে এখনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়। জরিপের ফলে রেডলাইনে দাঁড়িয়ে ‘মহাজোট’ কিছুটা স্বস্তি অনুভব করলেও ঘাড়ে গরম নিঃশ্বাস ফেলছে ইন্ডিয়া জোট।
দ্য মুড অব নেশন পোলের তথ্য বলছে, মোদির জনপ্রিয়তা এখনো অটুট, তবে তা স্থায়ী নয়। অপর এক জরিপের ফলে দেখা গেছে, দেশটির ৪৪ শতাংশ মানুষ জাতীয় নির্বাচনে বিজেপিকে ভোট দেবে কেবল মোদির কারণে। এর দুটি কারণ, দেশজুড়ে উন্নয়ন ও হিন্দুত্ববাদ।
অন্যদিকে, দেশটির প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে রাহুল গান্ধীকে দেখতে চায় ১৬ শতাংশ মানুষ। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদিবিরোধীদের মাঝে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন।
এদিকে, উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস কমিটি বারাণসী থেকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে প্রার্থী করতে আগ্রহী। এ বিষয়ে শিগগিরই শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হবে বলে রোববার দলের নবনিযুক্ত রাজ্য সভাপতি অজয় রাই জানিয়েছেন।
শেষ পর্যন্ত কট্টর হিন্দুত্ববাদী মোদির ভাগ্যে কী ঘটবে তার জন্য লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।