রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানচেষ্টার পর থেকে ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের অবস্থান কোথায়, তা নিয়ে চলছে ধোঁয়াশা। কখনো শোনা গিয়েছে আত্নগোপনে রয়েছেন তিনি, আবার কখনো শোনা গিয়েছে বেলারুশে আছেন তিনি। এর মাঝে নিজেদের সেনাদের উদ্দেশে অজ্ঞাত জায়গা থেকে একটি অডিও বার্তা দেন প্রিগোশিন।
এমনকি তাঁর রাশিয়া সফর এবং পুতিনের সঙ্গে দেখা করার খবরও জানা যায়। কিন্তু কখনোই প্রকাশ্যে আসেননি তিনি। এবার প্রথমবারের মতো ভিডিও বার্তা দিলেন ভাগনার প্রধান। আর সে বার্তা থেকে ইয়েভগেনি প্রিগোশিন এখন আফ্রিকায় রয়েছেন এমন ইঙ্গিত মিলেছে।
রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানচেষ্টার পর এটাই তাঁর প্রথম ভিডিও বার্তা। ভাগনারের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে পোস্ট করা ভিডিওতে সামরিক পোশাক পরিহিত প্রিগোশিনকে রাইফেল হাতে একটি মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে কথা বলতে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এটা আফ্রিকার কোনো জায়গা।
ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘এখানে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির বেশি। তবে সবকিছু আমাদের পছন্দমতো রয়েছে। ভাগনার সব মহাদেশে রাশিয়ার গৌরব বাড়াতে অবদান রেখেছে। এখন আফ্রিকার মানুষকে আরও বেশি মুক্ত ও খুশি করতে এবং তাদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে কাজ করব। আমরা ইসলামিক স্টেট, আল-কায়েদাসহ সব দস্যুর জীবনকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করব।’
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছিল ভাগনার সেনারা। তবে রুশ সামরিক নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ ছিল প্রিগোশিনের। যার জেরে গত ২৩ জুন বিদ্রোহের ঘোষণা দেন প্রিগোশিন। এমনকি বিদ্রোহ ঘোষণা করে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মস্কোর দিকে অভিযান শুরু করে ভাগনার। রুশ বাহিনীর কাছ থেকে কয়েকটি শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণও নেয় ভাগনার। যার মধ্যে ছিলো গুরুত্বপূর্ণ একটি রুশ সেনাঘাঁটিও।
পরে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় সমঝোতায় বসতে রাজি হন প্রিগোশিন। সমঝোতায় বলা হয়, প্রিগোশিনসহ ভাগনার সেনারা রাশিয়া ছেড়ে বেলারুশে চলে যাবেন।