সমাবেশের আগের দিন বিএনপি কেন দূতাবাসে যায়?

যেকোনো সমাবেশের আগের দিন বিএনপিকে কোনও না কোনও দূতাবাসে কেন মিটিং করতে হয়, সে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেইটে আয়োজিত ‘বিএনপি-জামায়াতের হত্যা, ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদ’ শীর্ষক সমাবেশে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।

আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ যৌথভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করে।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে ১/১১ স্বপ্ন যারা দেখে, তারা খেলছে। মুখে বলছেন মানবতা, গণতন্ত্রের কথা। তারা যখন সমাবেশ করেন, তার আগের দিন বিদেশি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মিটিং করে। কেন মিটিং করতে হয়? কারণ তারা বিদেশিদের দিয়ে খেলছে।

তিনি বলেন, যাদের নিয়ে আপনি যে খেলা খেলতে শুরু করেছেন, এই খেলা জনগণ খেলতে দেবে না।

হানিফ বলেন, বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যারা লড়াই সংগ্রাম করেছে, সেই ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

তিনি বলেন, আজ যখন জাতি আশা করছে আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে নির্বাচন হবে। ঠিক তখনই নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের শান্তি অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

বিকেল সোয়া ৩টায় কোরআন তেলাওয়াত, পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনের শান্তির সমাবেশ শুরু হয়। দুপুর থেকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হতে থাকেন।

শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন।

সমাবেশে আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেসবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু ও ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।