কোন প্রধান বিরোধী দল ছাড়াই গত রোববার জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় কম্বোডিয়ায়। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পাওয়ার দাবি করেছে ক্ষমতাসীন দল কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই দেশটির কিছু ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে বিদেশি কিছু সহায়তা কর্মসূচিও স্থগিত করেছে ওয়াশিংটন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, কম্বোডিয়ার নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সিপিপি দলের কোনো শক্ত বিরোধী দল নির্বাচনে ছিল না। দেশটিতে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির অবনতির কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গণতন্ত্রের মর্যাদা নষ্ট করার মতো পরিস্থিতির সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট কিছু বিদেশি সহায়তাও স্থগিত করেছে দেশটি।
এসময় কম্বোডিয়ার সরকারকে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানান মিলার। নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীনদের নানা কাজ দেশটির সংবিধানের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। নির্বাচনটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হয়নি বলেও মন্তব্য তার।
৩৮ বছর ধরে কম্বোডিয়ার ক্ষমতায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হুন সেন। দেশটিতে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন হুন সেন। সেই সাথে কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনীর প্রধানের দায়িত্বে আছেন তার ছেলে হুন মানেট। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এবারের নির্বাচনেও সিপিপির জয়ে হুন সেনের ছেলে হুন মানেটের ক্ষমতায় আসার পথ প্রশস্ত হয়েছে। দেশটিতে সিপিপির প্রধান বিরোধী দল ক্যান্ডেললাইট পার্টি। তবে এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি দলটি। নিবন্ধন সংক্রান্ত ত্রুটির অজুহাত দেখিয়ে চলতি বছরের মে মাসে এই দলকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।