ভারতের মণিপুর রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি ও আলোচনার দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতের সংসদ। সোমবারও সংসদের উভয় কক্ষের অধিবেশন সরকার ও বিরোধীদের পাল্টাপাল্টি দাবির মুখে অধিবেশন পণ্ড হয়ে গিয়েছে। আজ সংসদীয় অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনের বাইরে মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে বিক্ষোভ করে বিরোধী জোট। বিরোধীশাসিত রাজস্থান, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খন্ডসহ বিভিন্ন রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে পাল্টা বিক্ষোভ করেছেন ক্ষমতাসীন দলের সাংসদেরাও। দুই পক্ষের হাতেই ছিল বিভিন্ন পোস্টার।
বিরোধীদের দাবি, মণিপুর নিয়ে যে কথা প্রধানমন্ত্রী সংসদের বাইরে বলেছেন, সংসদের ভেতরে তা তিনি বলুন। এই পরস্পরবিরোধী অবস্থানের মধ্যে রাজ্যসভায় আম আদমি পার্টির সদস্য সঞ্জয় সিংকে চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় সাময়িক বরখাস্ত করে দেন। চলতি অধিবেশনে তিনি আর সভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন না। প্রতিবাদে বিরোধীরাও চেয়ারম্যানের ডাকা বৈঠক বর্জন করেন। বর্জন করেন সভার আলোচ্যসূচি নির্ধারণ কমিটির বৈঠকও।
বিরোধী নেতাদের দাবি, লোকসভা ও রাজ্যসভা দুই কক্ষেই মুলতবি প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হোক। এই প্রস্তাব গৃহীত হলে সভার অন্য সব কাজ বন্ধ থাকবে। সেক্ষেত্রে মণিপুর নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের ব্যাখ্যা চাওয়া যায়। সরকারও জবাবদিহিতে বাধ্য থাকে। তবে মুলতবি প্রস্তাব নয়, স্বল্প মেয়াদের আলোচনা চায় ক্ষমতাসীন দল।
দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি শাসক দল বিজেপির নতুন কৌশল। মণিপুর থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই এই বিতর্ক উসকে দিয়েছেন। চলতি সংসদ অধিবেশন শুরুর দিন মৌনতা ভেঙে মণিপুর নিয়ে কথা বলেন নরেন্দ্র মোদী। তবে সে বক্তব্যে দোষীদের শাস্তির চেয়ে রাজস্থান–ছত্তিশগড়ের মতো বিরোধীশাসিত রাজ্যের নারী নির্যাতনের ঘটনাকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছিলেন তিনি।