বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ আবহাওয়ার কবলে পড়েছে বিশ্ব। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দাবদাহ আর দাবানলে পুড়ছে ইউরোপ ও আমেরিকার বিস্তৃত অঞ্চল। নতুন রেকর্ড তাপমাত্রা মাপা হয়েছে চীনে। আবার ভারী বৃষ্টি ও ঢলে দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, পাকিস্তানসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে হানা দিয়েছে প্রাণঘাতী বন্যা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের পশ্চিমাঞ্চলে চতুর্থ দিনের মতো দাবানল অব্যাহত আছে। উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টার থেকে পানি ছিটিয়ে দাবানল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। উষ্ণ বাতাসের কারণে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গিয়ে ঠেকতে পারে। সেই সাথে উপকূলীয় তেল শোধনাগারে যাতে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য রাতেও দাবানাল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা।
ভরা গ্রীষ্মকালীন পর্যটন মৌসুমে ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলে প্রচণ্ড দাবদাহ চলছে। ইতালির ২৩টি শহরে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার এসব শহরে তাপমাত্রা বেড়ে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গিয়ে ঠেকে। বর্তমানে চরম তাপমাত্রার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে ইউরোপের দেশটি। রোমের তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। অসহনীয় গরমে মৃত্যু ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। স্পেনেও দাবানলের সতর্কতা জারি করেছিল দেশটির কর্তৃপক্ষ। তবে লা পালমা দ্বীপের বাসিন্দাদের বাড়িতে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ভারী বৃষ্টি ও ঢলে দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, পাকিস্তানসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে হানা দিয়েছে প্রাণঘাতী বন্যা। গত সপ্তাহ থেকেদক্ষিণ কোরিয়ার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতে ব্যাপক বন্যা দেখা দেয়। চেওংজু শহরের একটি আন্ডারপাস প্লাবিত হলে ১৪ জনের মৃত্যু হয়। নদীর পানি উপচে সেখানে বেশ কিছু গাড়ি ডুবে যায়। গত ১ জুন বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর ভারতের উত্তরাঞ্চলে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে শতাধিক প্রাণহানি হয়েছে। এদিকে পাকিস্তানে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। বাড়ছে প্রাণহানি।