এমএলএসের চেয়ে সৌদি লিগ ভালো: রোনালদো

লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো- ফুটবলে হাল সময়ের সবচেয়ে বড় দুই তারকা। দুই জনের মধ্যে তাই প্রতিদ্বন্দ্বীতাও হয়েছে ক্যারিয়ার জুড়ে। দুজনই ক্যারিয়ারের একটা বড় সময় খেলেছেন লা লিগায়। তখন তাদের সম্মুখ দ্বৈরথ দেখতে মুখিয়ে থাকতেন বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি ভক্ত-সমর্থক। রোনালদোর রিয়াল ছেড়ে জুভেন্টাসে নাম লেখানোর মধ্য দিয়ে সে দ্বৈরথের অবসান হয়। ইউরোপের ফুটবল ছেড়ে এবার নতুন চ্যালেঞ্জের সামনে দুজনই। রোনালদো মাঠ দাপাচ্ছেন এশিয়ার ফুটবলে। আর মেসি বেছে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রকে। তবে মেজর লিগ সকারের থেকে সৌদি প্রো লিগ বেশি চ্যালেঞ্জিং বলে মন্তব্য করেছেন রোনালদো।

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি সৌদি ক্লাব আল নাসরে নাম লেখান রোনালদো। এর মধ্য দিয়ে দেশটির ফুটবলে দিন বদলের হাওয়া লাগে। সৌদি প্রো লিগকে নক্ষত্রপুঞ্জ বানাতে তারকা ফুটবলারকে পাখির চোখ করে রেখেছে সৌদি ক্লাবগুলো। এরই মধ্যে করিম বেনজেমা, এনগোলো কান্তে, রবার্তো ফিরমিনো, এদুয়ার্দো মেন্দি, মার্সেলো ব্রোজোভিচ, কালিদু কুলিবালি, রুবেন নেভেসদের মতো তারকাদের নিয়ে এসে সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে অনেক দূর এগিয়েও গেছে সৌদি আরব।

আল নাসরের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী আল হিলালের কাছ থেকে বিশাল অঙ্কের প্রস্তাব ছিলো লিওনেল মেসির কাছে। তবে সে প্রস্তাবে সাড়া দেননি আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। পাড়ি জমিয়েছেন ইন্টার মায়ামিতে। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে মেসিকে বরণ করে নিয়েছে মেজর লিগ সকারের ক্লাবটি।

রোনালদোর চাওয়ায় তাঁর দেশ পর্তুগালে প্রথমবার প্রাক-প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে গেছে আল নাসর। গত রাতে স্প্যানিশ ক্লাব সেল্টা ভিগোর কাছে ৫-০ ব্যবধানে হেরেছে আল নাসর। লম্বা ছুটি কাটিয়ে এ ম্যাচ দিয়েই মাঠে ফিরেছেন রোনালদো।

ম্যাচ শেষে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে অকপটে অনেক কথা বলেছেন। রোনালদোর উদ্বৃতি দিয়ে দলবদলের বাজারে বিশ্বস্ত সূত্র ইতালিয়ান সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েটি পোস্ট করেছেন। সেখানে রোনালদো বলেন, ‘এমএলএসের চেয়ে সৌদি লিগ ভালো। আমি শতভাগ নিশ্চিত, ইউরোপীয় ক্লাবে আর ফিরব না। সেই দরজা একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। আমি সৌদি লিগে আসার পথ খুলে দিয়েছি। এখন সব খেলোয়াড় আমাকে অনুসরণ করে এখানে আসছে।’

শুধু তাই নয়, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ছাড়া ইউরোপের অন্য সব প্রতিযোগিতা মান হারিয়েছে বলেও দাবি করেছেন রোনালদো। ইউরোপীয় ক্লাবে আর কখনো ফিরবেন না, এমন কথাও জোর গলায় বলেছেন।