ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলে নবীন ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ তার চার সহযোগীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (১৫ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের ২০২ নং কক্ষে অনুষ্ঠিত শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ সভা শেষে কথা জানান।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ জানান, ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় শনিবার সকালে উপাচার্যের কার্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী অভিযুক্তদের এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত অন্যরা হলেন- ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী।
তবে এ সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুন বলেন, এ রায়ে আমি সন্তুষ্ট না। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এক বছর পর তারা যে আমার কোনো ক্ষতি করবে না এর নিশ্চয়তা নেই। তারা এখনো বিভিন্ন মাধ্যমে আমার নামে আজেবাজে কথা বলে বেড়াচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শেলিনা নাসরিন বলেন, তিনটি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী অভিযুক্তদের দোষ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোড অফ কন্ডাক্ট (পার্ট-২, ধারা-৮) অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি বারো মাসের জন্য তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলে গণরুমে এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী ও পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে হল, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও উচ্চ আদালত এবং শাখা ছাত্রলীগ কতৃক পৃথক চারটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।
তদন্ত শেষে প্রতিবেদনের আলোকে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে হাইকোর্টের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওই পাঁচ অভিযুক্তকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া হল প্রশাসন ও ছাত্রলীগ তাদের তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বহিষ্কার করে।