পাবনার ঈশ্বরদীতে সোনালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে এক নারীর সাথে অশালিন আচরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে প্রত্যাহার করেছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ এসে পিরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভুক্তভোগী নারীর স্বজনদের অভিযোগ, রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর গোয়েন্দা শাখার সদস্য মৃত আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে শিরিনা খাতুন রেলওয়ে থেকে পাওনা টাকা সোনালী ব্যাংকের ঈশ্বরদী শাখা মাধ্যমে উঠানোর জন্য গত ৯ জুলাই একাউন্ট খুলতে ব্যাংকে যান। সেদিনই তার সাথে অশালিন আচরণ করেন সাইদুল ইসলাম। তিনি মোবাইল ফোনে ভিডিও কলে বোরকা খুলে তার সাথে কথা বলতে বলেন। এরপর শিরিনা ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকের কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানান তিনি।
ঘটনার দিন বুধবার দুপুরে শিরিনা খাতুন ব্যাংক একাউন্টে নমিনির তালিকায় বোনের নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ব্যবস্থাপক সাইদুল ইসলামের কক্ষে যান। সে সময় তিনি আবার তার সাথে অশালিন আচরণ করেন, কু-প্রস্তাবও দেন। এরপর শিরিনার ছোটবোন শাখা ব্যবস্থাপকের কক্ষে গেলে তার সাথেও অশালিন আচরণ করেন সাইদুল। এ ঘটনার পর তারা ক্ষিপ্ত হয়ে সাইদুল ইসলামকে স্যান্ডেল দিয়ে মারপিট করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ব্যাংকের স্টাফসহ গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়।
ভুক্তভোগী শিরিনা খাতুন বলেন, ‘সোনালী ব্যাংকের ঈশ্বরদী শাখার ব্যবস্থাপক সাইদুল ইসলাম খুবই খারাপ মানুষ। তার মত একজন হীন মানসিকতার মানুষের ব্যাংকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া উচিত। ও যেখানে যাবে সেখানেই নারীদের সঙ্গে এরকম আচরণ করবে। তার শাস্তির দাবিতে বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভুল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আপনারা লেখালেখি করেন না।’
সোনালী ব্যাংক পাবনা রিজিওনাল শাখার মহাব্যবস্থাপক মোঃ মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের ঈশ্বরদী শাখায় যে ঘটনাটি ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক, নিন্দনীয়। ব্যাংকের সুনামহানি হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় শাখা ব্যবস্থাপক সাইদুল ইসলামকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যাংকের নিয়মানুসারে বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিরিনা খাতুন বাদী হয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অশালিন আচরণসহ কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।