রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ৫০০তম দিন অতিবাহিত হয়েছে। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের মধ্য দিয়ে এই যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। দেড় বছরের বেশি সময় কেঁটে গেলেও যুদ্ধ বন্ধের কোন লক্ষণ নেই। উল্টো প্রতিনিয়তই নতুন করে সংঘর্ষে জড়াচ্ছে দুই পক্ষ। এতে একদিকে যেমন বাড়ছে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি, অন্যদিকে স্থিতিশীলতা হারাচ্ছে বিশ্ব রাজনীতিসহ নানা বিষয়।
এক বিবৃতিতে ইউক্রেনে জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ মিশন জানায়, রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর পাঁচশো শিশুসহ ৯ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। যদিও এর আগে জাতিসংঘ প্রতিনিধিরা এই সংখ্যা বাস্তবে অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন। যুদ্ধের ৫০০তম দিন উপলক্ষে দেওয়া বিবৃতিতে বেসামরিক নাগরিক নিহতের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির উপপ্রধান নোয়েল ক্যালহাউন বলেন, ‘আমরা আজ এই যুদ্ধের আরেকটি নির্মম মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছি, যে যুদ্ধ ভয়ংকর সংখ্যায় ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে।’
ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখন্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রাশিয়া। জাতিসংঘের হিসাবে, যুদ্ধের কারণে ৬৩ লাখেরও বেশি ইউক্রেনের নাগরিক দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। সম্প্রতি ইউক্রেনকে নিষিদ্ধ গুচ্ছ বোমা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যা এই যুদ্ধে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
যুদ্ধের ৫০০তম দিনে ‘স্নেইক আইল্যান্ড’ নামে কৃষ্ণসাগরের একটি দ্বীপ পরিদর্শন করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজের হামলা উপেক্ষা করে দ্বীপটি রক্ষায় ইউক্রেনীয় সেনাদের বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ের ঘটনা রয়েছে। সেখানে দেশের জন্য লড়ে যাওয়া যোদ্ধাদের প্রশংসা করেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়ার নিরাপত্তা পর্ষদের স্থায়ী সদস্যদের বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, কিছু দেশ সমস্যা তৈরির চেষ্টা করছে। তবে আমরা সেসব কাটিয়ে উঠবো। অন্যদিকে, ইউক্রেন ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার যোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।