ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালানোর পর থেকেই দেশটিকে অস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। গত শুক্রবার রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বোমা দেয় ওয়াশিংটন। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বা গুচ্ছ বোমা দেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে কিয়েভ। তবে ব্যাপকভাবে নিষিদ্ধ এই ক্লাস্টার বোমা রাশিয়ার ভূখন্ডে ব্যবহার করা হবে না বলে জানিয়েছে ইউক্রেন।
শনিবার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ বলেছেন, তাঁর দেশের ভূখণ্ড দখলমুক্ত করতে এই অস্ত্র সহায়তা করবে। কিয়েভ এই অস্ত্র রাশিয়ার ভূখণ্ডে ব্যবহার করবে না বলে অঙ্গীকার করেছেন তিনি। এই অস্ত্র তাঁর দেশের সেনাদের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করবে বলে মন্তব্য তার।
পাশাপাশি ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারসংক্রান্ত তথ্য নথিবদ্ধ করার বিষয়টি তাঁরা কঠোরভাবে অনুসরণ করার কথা বলেছেন ওলেক্সি রেজনিকভ। প্রয়োজনে এ-সংক্রান্ত তথ্য কিয়েভ তার অংশীদারদের সঙ্গে বিনিময় করবে। এক টুইটা বার্তায় তিনি লেখেন, ‘আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। ইউক্রেনের মূল ভূভন্ড দখলমুক্ত করতে হবে এবং আমাদের জনগণের জীবন বাঁচাতে হবে।’ ইউক্রেন এই অস্ত্র ব্যবহার করবে শুধু কিয়েভের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অঞ্চলগুলো দখলমুক্ত করার জন্য। রাশিয়ার আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত ভূখণ্ডে এই অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না।
যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে এই বোমার উৎপাদন, মজুত ও ব্যবহার বন্ধে বিশ্বের ১২৩টি দেশ একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি সই করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও রাশিয়া এই চুক্তিতে সই করেনি। ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বোমা সরবারহের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে মস্কো। এমনকি এ ঘটনায় উদ্বেগ জানায় যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি মিত্র দেশও।