বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক উন্নয়নে আলোচনা ফলপ্রসূ: চীনা রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের চলমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশর অগ্রগতি ইতিবাচক। শান্তিরক্ষা মিশনেও এদেশের বাহিনীর সদস্যরা দারুণ ভূমিকা রাখছেন যা সত্যি প্রশংসনীয়। এসব বিষয়কে চীন সবসময়ই সাধুবাদ জানায়।

এর আগে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বৈশ্বিক দক্ষিণের বৃহত্তর সম্মিলিত সুবিধার জন্য ‘দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা’ আরও বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারর উদ্যোগে চালু করা কমিউনিটি ক্লিনিকসহ উদ্ভাবনী পদ্ধতির উল্লেখ করেন, যা এখন আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত।

তিনি জানান, বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশ সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য প্রচুর ব্যবহারিক, সহজ এবং কার্যকর চীনা উদ্ভাবন প্রয়োগ করতে পারে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন কোভিড-১৯ মহামারী ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সাফল্য উল্লেখ করেন এবং এ বিষয়ে চীনের উল্লেখযোগ্য সহায়তার প্রশংসা করেন। এই প্রসঙ্গে, তিনি মুদ্রাস্ফীতির চাপ এবং সাধারণ মানুষের জীবন, বিশেষ করে অনাকাঙ্ক্ষিত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দ্বারা সৃষ্ট অর্থনৈতিক দুর্দশার কথাও তুলে ধরেন। সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে অবিলম্বে যুদ্ধের অবসান ঘটানো হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যে ইতিবাচক ফলাফল বহনকারী চীনা কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সাম্প্রতিক সাফল্যের প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, চীন আমাদেরসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আরো অনেক সংকট প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এসময় চীনা রাষ্ট্রদূতকে সে দেশের সহায়তায় পরিচালিত বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সম্পর্কে অবগত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন একটি বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে চীনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে দু’দেশের চলমান দ্বিপাক্ষিক সম্পৃক্ততা আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রযুক্তি ও দক্ষতা হস্তান্তরের সুবিধার্থে বাংলাদেশে বৃহত্তর চীনা বিনিয়োগকে উৎসাহিত করেন।