সুনামগঞ্জে নৌকাডুবিতে একই পরিবারের তিন শিশুর মৃত্যু

সুনামগঞ্জে নৌকা ডুবে তিন ভাই বোন মারা গেছে। রোববার দুপুর দুইটার দিকে সদর উপজেলার লক্ষ্মণশ্রী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া তিন শিশু হলো গোবিন্দপুর গ্রামের দিনমজুর সোহেল মিয়ার মেয়ে ফারজানা আক্তার (১৩), মারজানা আক্তার (৮) ও ছেলে রবিন আহমদ (৪)।

নৌকাডুবিতে নিহত তিন শিশুর বাবা সোহেল মিয়া

লক্ষ্মণশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের আট নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মহিনুর ইসলাম জানান, সোহেল মিয়ার বাড়ি সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়ক সংলগ্ন গোবিন্দপুর গ্রামে। সড়ক থেকে তার বাড়ি খানিকটা দূরে হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে সেখানে পায়ে হেঁটে যাওয়া যায় কিন্তু বর্ষায় নৌকা ছাড়া যাতায়াত করা যায় না। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে তার বাড়ির চারপাশে পানি জমেছে।

দুপুরে তাদের বাড়ির উঠোন পানিতে ডুবে গেলে একটি ছোট নৌকা নিয়ে ফারজানা, মারজানা, রবিন আরেকটি বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় নৌকায় তাদের আরেক ভাই নাইম আহমদও (১০) ছিল। তারা চারজন যখন নৌকায় চড়ে যাওয়ার সময় মাঝপথে সেটি ডুবে যায়। এরপর নাইম সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও অন্য তিনজন ডুবে যায়। নাইম গ্রামের লোকজনকে বিষয়টি জানালে তারা গিয়ে পানি থেকে তিন শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

গ্রামের বাসিন্দা ফুয়াদ আহমদ বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। গত বছর সোহেলের আরেক ছেলে সাইম আহমদ (১৫) বজ্রপাতে মারা যায়। এবার তিন ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে মারা গেল।

লক্ষ্মণশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওদুদ জানান, সোহেল মিয়া খুবই দরিদ্র মানুষ। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাদের কিছু অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহগুলো দাফনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।